দৈনিকবার্তা-রংপুর, ২৪ জুন: চলতি রমজান মাসে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন তারাবি পড়া মুসল্লিগন।এতে ক্ষুব্ধ উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১৭ লাখ ১৫ হাজার গ্রাহক। ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ হিসেবে পহেলা রমজান থেকে বুধবার পর্যন্ত দুটি সাবস্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। গত ২০ জুন রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১০ থেকে ১২টি মসজিদের মুসল্লিরা একত্র হয়ে বোয়ালিয়া ফুটানিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাবস্টেশনে হামলা চালায়। তারা এক প্রকৌশলীসহ কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করে। গত ২২ জুন রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর সাবস্টেশনেও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা করা হলে পুলিশ কয়েকজন গ্রাহককে গ্রেপ্তার করে।
নীলফামারীর চিলাহাটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। রংপুরের পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ ও শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, তাদের আওতায় রংপুর, গাইবান্ধা, ও নীলফামারীসহ ১৩ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৬৫ থেকে ৭২ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে দিনে-রাতে মিলে তারা পাচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫০ মেগাওয়াট। উত্তরাঞ্চলের ১৮টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকের সংখা ১৭ লাখের উপরে। সূত্র আরও জানায়, প্রতিটি সমিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সঞ্চালন লাইনের ত্র“টির কারণে স্টেশনগুলো ঠিকমতো লোড নিতে না পারায় লোডশেডিং বাড়ছে। রংপুরের হারাগাছের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রমজান আলী, সিরাজুল ইসলাম ও গঙ্গাচড়ার মিজানুর রহমান লুলু জানান, ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় লোডশেডিং হচ্ছে। এতে মুসল্লিরা যেমন দুর্ভোগে পড়ছেন সেই সাথে সাধারণ গ্রাহকরাও বিরক্ত হচ্ছেন। তারা রমজান মাসকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান।
শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম দেওয়ান তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৩৬ মেগাওয়াট। সেখানে তিনি পিক আওয়ারে পাচ্ছেন চাহিদার ৬ থেকে ৮ মেগাওয়াট কম। পাগলাপীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, তার ৭টি উপজেলায় চাহিদা ৪১ মেগাওয়াট। তিনিও চাহিদার ৪ থেকে ৭ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।