setumontri

দৈনিকবার্তা-লৌহজং(মুন্সীগঞ্জ), ২৪ জুন: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মার সাময়িক এ ভাঙনে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে বিঘিœত হবে না।সাময়িক এ ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কার কোন কারণ নেই।ভাঙনরোধে সব ধরণের প্রস্ততি এখানে রয়েছে।ভাঙনকবলিত এলাকায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজার জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় আরো ৫লাখ জিও ব্যাগ ফালানো হবে।তিনি বলেন,ইতিমধ্যে ভাঙনরোধে যেসব এলাকায় তীর রক্ষা কাজ করা হয়েছে,সেসব এলাকা কোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।তবে হঠাৎ করে নতুন একটি এলাকায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে সেতুর কাজের কোন সমস্যা হবে না এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। বুধবার দুপুরে পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কুমারভোগ পদ্মা সেতু এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা তিনি বলেন।এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহি প্রকৌশলী দেওয়ান মোঃআব্দুল কাদের উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ শিকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন । উল্লেখ্য,সোমবার রাতে পদ্মার প্রবল ¯্রােতে কুমারভোগ পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন এলাকার দক্ষিণ পার্শ্বে দৈর্ঘ্যে ১৫০ মিটার ও প্রস্থে ১০মিটার এলাকা বিলীন হয়ে যায়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যে টুকু ভেঙেছে তা তেমন কিছু নয় । এই ভাঙ্গনে প্রকল্পের কোন ক্ষতি হয়নি। ভাঙ্গনরোধে ৫ লাখ বালুর বস্তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ হাজার বস্তা নদীতে ফেলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো ব্যবস্তুা নেয়া হবে। নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিলেও তা মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে।প্রসঙ্গত, সেতুল থেকে এক কিলোমিটার ভাটিতে সোমবার এক পয়েন্টে এবং মঙ্গলবার এর কাছাকাছি আরেকটি পয়েন্ট ভাঙ্গন দেখা দেয়। এর আগে রবিবার প্রথম ভাঙ্গন দেখা দেয় মূল সেতুর ৫শ’ মিটার ভাটিতে নদীশাসন এলাকার সিনোসাইড্রো সাব স্টেশনের কাছে। এপর্যন্ত তিনটি স্থানে ১৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ১০ফুট প্রস্ত এলাকা বিলীন হয়ে যায়। তবে তাৎক্ষনিক বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।