দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৪ জুন: অবশেষে ইয়াবা ও মানবপাচারে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে বাহিনী৷ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি)এ কে এম শহীদুল হক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন৷ এই দুটি অপরাধ তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷বুধবার পুলিশ সদর দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়৷ ইতিমধ্যে পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বার্তা পাঠিয়েছেন আইজিপি৷সমপ্রতি নোয়াখালীতে বিশাল ইয়াবার চালানসহ র্যাবের এএসআই গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি ফাস হয়ে যায়৷এর প্রেক্ষিতে পুলিশের আইজি এ তদন্ত কমিটি গঠন করলেন৷ সিআইডির ডিআইজি সাইফুল হককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (পিআইও) কাজী জিয়া উদ্দিন ও ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার সিনিয়র এএসপি আব্দুস সালাম এবং ফেনী জেলার এএসপি হেডকোয়ার্টার্স৷
মানবপাচার,মাদক এবং অন্যান্য চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত এবং করণীয় নির্ধারণে স্পেশাল ব্রাঞ্চের এ্যাডিশনাল ডিআইজি তৌফিক মাহবুব চৌধুরীকে প্রধান করে অপর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷কমিটির সদস্য রয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান৷ কমিটি কোন পুলিশ সদস্য পেশাগত মান থেকে বিচু্যত্ হচ্ছে কিনা বা অন্য কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিনা এ সংক্রান্তে সার্বিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে৷
বিবৃতিতে আইজিপি বলেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত এএসআই মাহফুজুর রহমানসহ তার সব সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে৷ কমিটির কাছে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে৷আইজিপি বলেন, ‘সততা বা অসততা মানুষের নিজস্ব গুণ বা দোষ৷ কোন অপরাধের দায়ভার একান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির নিজের৷ পুলিশ বিভাগ কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না৷ আমরা এটা বরদাশ্ত করি না৷ নিজের ইউনিটের কেউ অপরাধে জড়ালে তাকে অপরাধী হিসেবেই গন্য করি৷ কোন সদস্যের অপরাধের কারণে পুরোবাহিনীর ভাবমূর্তিকে জড়ানোর চেষ্টাও সমীচীন নয়৷ যারা ইয়াবাসহ অনুরূপ অপরাধে জড়িয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷এদিকে কমিটির বিরুদ্ধেও নামানো হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশকে৷ কমিটির কোনো পুলিশ সদস্য পেশাগত মান থেকে বিচু্যত্ হচ্ছে কি না বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কি না এ সংক্রান্তে সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করবে গোয়েন্দারা৷