দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুন: বিএনপি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা, আন্তিরকতা ও বন্ধুপূর্ণ সম্পর্কের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সরকারের সাথে সমঝোতা, আন্তিরকতার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে টেকসই করতে চায় বিএনপি। কিন্তু সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে এই সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়। আর এর ফলে দেশে রাজৈনতিক তিক্ততা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপিকেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, মির্জা ফখরুলের মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না।সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ফখরুলের জামিন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের ১৬ কেজি ওজন কমেছে। তিনি নানা জঠিল রোগে ভুগছেন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা সরকারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করে জামিন বাতিলের আবেদন করেছে। এই আবেদনের শুনানি হবে ২৫ জুন। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই ফখরুলের জামিনের সব বাধা অপসারণ করে তাকে মুক্তি দিন।
তিনি আরো বলেন, সরকার বিরোধী দলের উপর যে আচরণ করছে তা নজির বিহীন ও ন্যক্কারজনক। বিএনপি নেতারা কে কি কাজ করতে পারে তা সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানে। কিন্ত এরপরও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নামে রমজান মাসে গ্রেপ্তারি পরয়োনা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের কাছে দুঃখজনক।বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সরকারের উপরের মহল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের চার্জশিটের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রশাসনের একটি অংশ বাণিজ্য করার জন্য চার্জশিট প্রদান করছে।রমনা থানায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এ মুখপাত্র।রিপন বলেন, মির্জা ফখরুল তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ায় সকল মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু জামিনের বিরোধিতা আদালতে আবেদন করে রারাষ্ট্র পক্ষ। এই আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৫ জুন। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাই সকল বাধা অপসারন করে ফখরুলকে জামিনে মুক্তি দেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, মির্জা ফখরুলের মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না। সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবে মির্জা ফখরুলের জামিন পেতে বিলম্ব হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের ১৬ কেজি ওজন কমেছে। তিনি নানা জঠিল রোগে ভুগছেন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা সরকারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলের উপর যে আচরণ করছে তা নজির বিহীন ও ন্যক্কারজনক। বিএনপি নেতারা কে কি কাজ করতে পারে তা সরকারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানে। তারপরও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নামে রমজান মাসে গ্রেফতারি পরয়োনা জারি করা দুঃখ জনক।
বিএনপির এই নেতা বলেন,আমরা বিশ্বাস করি সরকারের উপরের মহল বিরোধী দলের নেতামর্কীদের চার্জশীটের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। ডশাসনের একটি অংশ বাণিজ্য করার জন্য চার্জশিট দিয়েছে। গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় রমনা থানা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে রিপন বলেন, আমরা বলতে চাই আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি টেকসই নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখতে চাই। এ জন্য সরকার ও বিরোধী দলের একটি কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে। সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এতে যেন কোনো প্রকার শত্রুতামি না হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া প্রমুখ।