দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুন: বাড়ি দখলের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট।মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন খারিজ করে দেয়।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ আদেশের ফলে নিম্ন আদালতে এই মামলা চলতে আর বাধা নেই।এর আগে মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচারিক আদালতের দেয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মওদুদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিরুদ্ধে মওদুদের করা আবেদনে এর আগে দেওয়া রুলের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ এই রায় দেয়।রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়া বৈধ বলে রায় দিয়েছে আদালত। এর ফলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা থাকল না।
মওদুদ তার আবেদনের ওপর নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে দুদক এই মামলা দায়ের করে।গতবছর ২৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতের বিচারক শুনানি শেষে অভিযোগপত্র আমলে নেন।অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।
এরপর ১৯৭৩ সালের ২অগাস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে এ মামলার অভিযোগ।মওদুদ অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গেলে গত ৫ মে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ রুল জারি করে।বিচারিক আদালতের ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা ১০ দিনের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়। বিবাদীদের জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে শুনানি শেষে হাই কোর্ট অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ বৈধ বলে রায় দেয়।