accident_145167

দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম,২৩ জুন: ফোকাস বাংলা নিউজ :চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি ডিটি রোড রেলগেট এলাকায় সীমানা দেয়াল ধসে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷নিহত ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. মনিরুল হকের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কুসুম ওনোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কল্যাণদী মোহাম্মদপুর গ্রামের সুধীর চক্রবর্তী৷চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডিটি রোড রেলগেট এলাকার একটি গলিতে পুরোনো এক দেয়াল ধসে পড়লে জান্নাতুল ও সুধীর চাপা পড়েন৷ দেয়ালটির উল্টো পাশে অনেকগুলো ইটের স্তূপ ছিল৷ সম্ভবত ইটের চাপে ও দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে দুর্বল হয়ে দেয়ালটি ধসে পড়ে৷ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে জান্নাতুলকে ও পরে সুধীরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়৷

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রথমে জান্নাতুলকে নিয়ে আসা হয়৷ তাঁকে পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিত্‍সক মৃত ঘোষণা করেন৷ এর ঘন্টাখানেক পর আনা হয় সুধীরকে৷ তাঁকেও চিকিত্‍সক পরীক্ষা করে মৃত দেখতে পান৷ দুটি লাশই মর্গে রাখা হয়েছে৷চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম মাদারবাড়ি ডিটি রোড রেলগেট এলাকায় মঙ্গলবার সীমানা দেয়াল ধসে পড়ে৷ দেয়ালটির উল্টো পাশে অনেকগুলো ইটের স্তূপ ছিল৷ ইটের চাপে ও দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে দুর্বল হয়ে দেয়ালটি ধসে পড়ে বলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান৷ ছবি: সৌরভ দাশদুই সন্তানের জননী নিহত জান্নাতুলের স্বামী মনিরুল হক জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তানজিনুল হককে কোচিং থেকে আনতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কুসুম৷ ছেলে ওই গলিতে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ে৷ যাওয়ার পথে দেয়াল ধসে এর নিচে চাপা পড়েন তিনি৷ তাঁদের পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে৷ ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মাদারবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে স্ত্রীকে দাফন করা হবে৷অন্যদিকে, নিহত সুধীর মাদারবাড়ির চৌমুহনী পরিবহন সংস্থায় চাকরি করতেন৷ নিহতের বন্ধু সঞ্জয় সাহা জানান, সুধীর অবিবাহিত৷ নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে তাঁর পরিবারের কাছে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে৷