Gazipur-(3)- 23 June 2015-RAB (Cross Fire)

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২৩ জুন: গাজীপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আহমেদ (৩০) নিহত হয়েছে। এসময় র‌্যাব-১ এর দু’সদস্যও আহত হয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দু’রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলির খোসাসহ দু’টি রামদা’ জব্দ করেছে। নিহত মামুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর মধ্য আরিচপুর এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল-টঙ্গী এলাকায় র‌্যাব-১ এর একটি দল সোমবার দিবাগত রাতে টহল দিচ্ছিল। মঙ্গলবার ভোর রাতে র‌্যাবের দলটি জয়দেবপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় পৌছলে কয়েকব্যাক্তি থামার জন্য সংকেত দেয়। সংকেত দেখে র‌্যাব সদস্যদের গাড়ির গতি কমালে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসী র‌্যাবের মাইক্রোবাসটিকে ঘিরে ফেলে। এসময় র‌্যাবের অপর একটি টহল পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌছলে সন্ত্রাসীরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য গুলি ছুড়ে। র‌্যাব সদস্যরা জীবন ও সরকারী সম্পদ রক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছুড়ে।

এতে দু’পক্ষের মাঝে গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় র‌্যাবের দু’সদস্য আহত হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দু’রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলির খোসা ও দু’টি রামদা’সহ গুলিবিদ্ধ মামুনকে উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ মামুনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মামুন টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে কয়েকটি হত্যা মামলার চার্জশীটভ’ক্ত আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রবাজি ও ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

এব্যাপারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৫টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা ওই ব্যাক্তিকে মৃতাবস্থায় এনে হাসপাতালে রেখে গেছে। তার মাথায়, বুকে, পেটে ও পায়ের বিভিন্নস্থানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে নিহতের মা সব্জা বেগম জানান, রবিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মামুন বাসার পাশে খান টেলিকম নামের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠাণে বন্ধুদের সঙ্গে বসে বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেট খেলা দেখছিল। এসময় সাদা পোশাকে কয়েক ব্যাক্তি সেখান থেকে মামুনকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মামুনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। মামুন দু’বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। সে স্থানীয় যুবদলের কর্মী। একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারের পর সম্প্রতি সে জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পায়।