দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ জুন: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, শুরুতে চিহ্নিত হলে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।তারা বলেন, যথাসময়ে স্ক্রিনিং, ভায়া টেস্টে প্রাপ্ত পজেটিভ রোগীদের চিকিৎসা ও পরবর্তী ফলোআপ নিশ্চিত করা এবং এ রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু হার উভয়ই কমানো সম্ভব।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার ‘ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অন স্ক্রিনিং এন্ড ডিটেকশন অফ সার্ভিক্যাল প্রিক্যান্সার এট দি কমিউনিটি লেভেল’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।‘অবস এন্ড গাইনী বিভাগ, এশিয়া ওশানিয়া রিসার্চ অর্গানাইজেশন অন জেনিটাল ইনফেকশনস এন্ড নিওপ্লাসিয়া ও সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট’র যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, জাতীয় অধ্যাপক ডা. সাহলা খাতুন, ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (বর্তমান বিএসএমএমইউ)’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এ. এইচ. এম. টি. এ চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এস্টাবলিসমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং এন্ড ট্রেনিং’ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা।বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ)’র ‘এস্টাবলিসমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং এন্ড ট্রেনিং’ প্রকল্পের কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশে মহিলাদের জরায়ু মুখের ক্যান্সারে মৃত্যু হার অনেক কমে এসেছে।কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর ৪৪ বছরে উন্নয়নের দিক থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে। চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে রোগীরা অনেক কষ্ট নিয়ে আসেন। তাঁদের কষ্ট উপলদ্ধি করে হাসিমুখে সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদেরকে সেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্সরা যদি রোগীর সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলেন, রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। এ কথা অন্তরে ধারণ করেই চিকিৎসক ও নার্সবৃন্দকে রোগীদেরকে সেবা দিতে হবে।