trolar dubi

দৈনিকবার্তা- ভোলা, ২২ জুন: ভোলার চরফ্যাশনের মেঘনায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ৩টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।সোমবার ভোর ৬ টার দিকে চর কুকড়ির মুকড়ির সোনার চরের পূর্ব পার্শ্বে মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে । এঘটনায় তেমন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে জেলেরা মেঘনার সোনার চরের পূর্ব পার্শ্বে মাছ শিকার করতে যায়। ভোর ৬ টার দিকে শাহাবুদ্দিন মাঝি, লোকমান মাঝি ও আলামিন মাঝির ট্রলার ৩টি প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রলার ৩টিতে থাকা ২৪ জেলেকে মেঘনায় থাকা অন্য ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ট্রলার ৩টিতে থাকা জেলেদের ২৪ টি মোবাইল সেট, জাল ও ট্রলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় জেলেরা জানায়, ডুবে যাওয়া ট্রলার ৩টির মাঝিদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন মাঝির বাড়ি কুকড়ির ৫নং ওয়ার্ডের আমিনপুর গ্রামে, লোকমান মাঝি ও আলামিন মাঝির বাড়ি ৬ নং ওয়ার্ডের শাহাবাজপুর গ্রামে। চরকুকড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য আঃ ছালাম হাওলাদার ট্রলার ডুবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এদিকে ট্রলার ডুবির বিষয়ে চরকুকড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই নুর মোহাম্মদ এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না এবং তাকে কেউ কিছু জানায়নি বলে জানান।অন্যদিকে, লালমোহন টু ঢাকা রুটের এমভি সালাউদ্দিন-১ লঞ্চটি তলা ফুটো হয়ে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে কাত হয়ে ডুবে গেছে। রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তেমন কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা গেছে, সালাউদ্দিন-১ লঞ্চটি সদরঘাটের দক্ষিণ পাড়ে তেলঘাটের পশ্চিম পাশে আলম মার্কেটের সামনে নোঙ্গর করা ছিল। সেখানে লঞ্চটির তলা ফুটো হয়ে এক পর্যায়ে কাত হয়ে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যায়। এসময় লঞ্চে কেউ ছিল না বলে জানা গেছে। সালাউদ্দিন-১ লঞ্চটি প্রায় ১ বছর আগে লালমোহন টু ঢাকা রুটে চলাচল করতো। মাঝখানে খুলনা সুন্দরবন ৪ মাস টুরিস্ট যান হিসেবে চলাচল করে। পরে লঞ্চটির ফিটনেস না থাকায় ও সাভের্র মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সদর ঘাটের ওপাড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। নতুন সার্ভে সনদ নিয়ে আবার নদীতে চলার অপেক্ষা করে লঞ্চটি। তার আগেই এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।