দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ২২ জুন: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বন বিভাগের জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় উপজেলা বন কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে (৪৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এসময় বাধা দিতে গেলে আরো দুজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল উপজেলার ফরাদপুর এলাকায় অবস্থিত সামাজিক বনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থ বছরে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গোদাগাড়ীর ফরাদপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০ হেক্টর জমিতে বনভূমি গড়ে তোলে স্থানীয় বন বিভাগ। এই বনায়ন কর্মসূচিতে স্থানীয় ৩০০ জন উপকারভোগী আছেন। বনের দক্ষিণ অংশে জমি দখলের জন্য স্থানীয়রা বেশকিছু দিন ধরে অব্যাহত চেষ্টা চালাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বন কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনের দক্ষিণ অংশের প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে গাছপালার পরিমাণ কম। এই জমিতে রবিবার সকালে স্থানীয় কিছু লোকজন জোর করে আম গাছের চারা রোপন করতে যান। খবর পেয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন বাঁধা দিতে গেলে ফরাদপুর গ্রামের অসিম, সুন্নান আলী, বকুল, আশির উদ্দীন, মুরশালিন হক, আবদুস সালাম, চাঁনু ও রফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর হামলা চালান।
হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথায় গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়। এদিকে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে ফরাদপুর বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হেদায়েতুল্লাহ (৫২) এবং ওই বনের পাহারাদার জিল্লুর রহমানকেও (৩৬) পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত তিনজনকেই উপজেলা (প্রেমতলী) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন জানান, এঘটনায় তিনি গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, বন কর্মকর্তার ওপর হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।