দৈনিকবার্তা-রাজারহাট(কুড়িগ্রাম), ২১ জুন: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অটোরিক্সার স্ট্যান্ড না থাকায় ব্যস্ততম রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করে যানজটের সৃষ্টি করছে। ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে পথচারীসহ যাত্রীরা। এব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বারবার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলেও কোন সুফল পায়নি। তাই তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।ব্যবসায়ীরা জানান, রাজারহাট উপজেলার প্রায় ২শতাধিক অটোরিক্সা রয়েছে। তাদের কোন লাইসেন্স কিংবা রোড পারমিট নেই। অথচ মটরযানের উপর পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ভাড়ায় চালিত এসব অটোরিক্্রা, নছিমন-করিমন সহঅন্যান্য যানবাহনের কাগজপত্র নিয়ে পুলিশী কোন ভুমিকা না থাকায় সাধারন মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি তাদের নুন্যতম কোন গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু-কিশোর।
প্রতিদিন ভোর হলেই তারা রাজারহাট বাজারের আনাচে কানাচে অটো রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একজন যাত্রী বা মক্কেল আসলেই শুরু হয় প্রতিযোগীতা। কে আগে যাত্রীকে তার রিক্সায় বসাতে পারবে। এর ফলে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে যায়। তারা হয়রানীর শিকার হয় বলে অনেক যাত্রীর অভিযোগ। অনেকে বিরক্ত সাথে বলেন, আগে ঢাকার গাবতলী শ্যামলী ফার্মগেট এলাকায় যাত্রী কিংবা যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই হতো। কিন্তু এখন ঢাকায় এসব নেই, রাজারহাট বাজারে এসব ঘটনা অহরহ ঘটছে। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথেই অটো রিক্সার যানজট শুরু হয়। শুরু হয় তাদের প্রতিযোগীতা।
ফলে প্রতিদিন ৮/১০টি দূঘটনার স্বীকার হয় পথচারীরা। বিশেষ করে রাজারহাট বাজারের সোনালী ব্যাংক চত্বর, তিস্তা বাস স্ট্যান্ড, মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজ মোড়, নাজিম খান রোড, কুড়িগ্রাম রোডে এসব দূর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। স্কুল কলেজের সামনে এসব অটো রিক্সা বেপরোয়াভাবে অবস্থান কিংবা চলাচল করায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবী, তাদের দোকানের সামনে এসব ইজিবাইক দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করে রাখায় দোকানে ক্রেতারা আসতে পারে না। ফলে তাদের ব্যবসায় ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। অপরদিকে রাজারহাট বাজারের একটি চক্র প্রতিটি অটো রিক্সা থেকে ২০টাকা চাঁদা তুলছে। চাঁদার টাকা কোন ফান্ডে খরচ হচ্ছে সেটাও জানে না অটো রিক্সা মালিক।
কিন্তু তাদের নিদিষ্ট কোন স্ট্যাান্ড তৈরি করে দিচ্ছে না। তাই অটোরিক্সার মালিকদের দাবী নিদিষ্ট জায়গায় স্ট্যান্ড তৈরি করে দেয়ার। এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম জানান, অটো রিক্্রা রাখার স্ট্যান্ড তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ রশিদ জানান, অটোরিক্সা চালানোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। গরিব মানুষরা এসব চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে তাদের স্ট্যান্ড থাকা উচিত।