দৈনিকবার্তা-ফেনী, ২১ জুন: ফেনীতে ২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও তার গাড়ির চালককে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তাদের নিকট থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, ৮টি ক্রেডিট কার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন সেট, মাদক বিক্রির হিসাব সংক্রান্ত ৩টি নোট বই উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের ব্যবহৃত একটি কালো রংয়ের ‘এলিয়ন’ প্রাইভেট কার আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ঢাকা টেকনিক্যাল সেকশনে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাহফুজুর রহমান (৩৫) ও তার গাড়ী চালক মো.জাবেদ আলী (২৯)। মো. মাহফুজুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাম্মনপাড়ার মিরপুর আর মো. জাবেদ আলীর বাড়ি ব্রাম্মনবাড়িয়া সদর।
গত শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপুল নামক স্থানে তাদের আটক করা হয়। তারা কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাস যোগে ইয়াবা বড়ি নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল।র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি কালো রংয়ের এলিয়ন প্রাইভেট কার (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৭-৭১৮১) ঢাক-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় একটি বাচ্চা ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে ওই প্রাইভেট কার আটক করে এবং সেটি তল্লাশী করে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা বড়ি যার আনুমানিক মূল্য ২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, মাদক বিক্রির নগদ ৭ লাখ টাকা, চারটি মোবাইল সেট, ৮টি ক্রেডিট কার্ড, মাদকের টাকার হিসাব সংক্রান্ত ৩টি নোট বই উদ্ধার করে। আটক মো. মাহফুজুর রহমান পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, এসবি ঢাকা টেকনিক্যাল সেকশনে কর্মরত, তার বিপি নং ৮০০১০৬৩১১৯, এসবি আইডি নং ৭৭৮৫। র্যাবের তথ্যমতে- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসআই মো. মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় চাকুরীর সময় (২০১১-১৩) বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। বর্তমানে কক্সবাজার ডিবির মো. বেলাল নামে একজন এএসআই, চট্টগ্রামের কুমিরা ফাড়ির একজন এসআই মো. আশিক ও ঢাকার ডিবির একাধিক কনষ্টবল ও হাইর্কোটের একজন মুহুরী এবং একজন আইনজীবি এ কাজে জড়িত রয়েছেন। ফেনী ক্যাম্প র্যাব কমান্ডার মেজর মোজাম্মেল হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে র্যাব দুপুর পর্যন্ত তাদেরকে পুলিশে হস্তান্তর করেন নি।