oile

দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ২১ জুন: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রেলসেতু ভেঙে খালে পড়ে যাওয়া তিনটি ওয়াগন থেকে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস তেল স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রতি লিটার ৩০ টাকা করে কেনার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি এই ঘোষণা দেন।মেজবাহ উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা চাইলে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস তেল তুলতে পারেন। তাদের কাছ থেকে ৩০টাকা লিটার দরে ঐ তেল কিনে নেওয়া হবে। রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, রেলসেতু মেরামত করে এই রেলপথটি সচল করতে সাত দিনের মতো সময় লাগবে।চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের বগি থেকে নদী-খালে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস অয়েল স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রতি লিটার ৩০টাকায় কিনে নেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। রোববার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিনের সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের ওয়াগন থেকে খালে ছড়িয়ে পড়া তেলে যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশি এলাকায় তেল ছড়িয়ে না পড়ার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।বিপিসির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এসব তেল কিনবেন।শুক্রবার দুপুরে বোয়ালখালীর খিতাপচর এলাকায় দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ফার্নেস অয়েল নিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম- দোহাজারী রেল লাইনের ২৪ নম্বর সেতু ভেঙে দুটি ওয়াগন খালে ডুবে যায় এবং একটি কাত হয়ে পড়ে।

ইঞ্জিনটিও সেতুর অদূরে গিয়ে কাত হয়ে যায়। ওয়াগন তিনটিতে থাকা তেল খালের পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। জোয়ার-ভাটায় এসব তেল কর্ণফুলী নদীতে গিয়েও মিশছে। শনিবার বিকালে ওই এলাকা ঘুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কর্ণফুলী নদী ও সংলগ্ন খালগুলোতে তেল ছড়িয়ে পড়েছে।এসব তেলে কর্ণফুলী নদীতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

শনিবার বিকালেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় নদী ও খাল থেকে তেল অপসারণের কাজ শুরু হয়। রোববার দুপুরেও ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজন, রেলওয়ে ও প্রশাসনের নিয়োজিত শ্রমিকদের খালে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস তেল অপসারণ করতে দেখা গেছে।এছাড়া খালে ডুবে যাওয়া তেলের ওয়াগন দুটি উদ্ধারেও কাজ চলছে।দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসারেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াগন দুটি তুলে সেতুটি মেরামত করা হবে। যারা সেতুটি তদারকির দায়িত্বে ছিলে তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি।এই লাইনে ৩২ টি রেলসেতু সংস্কার প্রকল্পের আওতায় নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।