দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ২১ জুন: বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্রবলবেগে পানি প্রবেশ করে ডুবে গেছে মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর, কমরপুর, সুধীরপুর, ইউসুফপুর ও পুরান মহিপুর গ্রাম। সর্বত্র এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। রবিবার সকাল থেকে জোয়ারের প্লাবনে এমন দুরাবস্থায় পড়েছেন ছয় শতাধিক পরিবার। চাল-চুলা সব হারানোর শঙ্কায় চরম উৎকন্ঠায় পড়েছেন এসব পরিবার। আবাদি জমি, পুকুরসহ রাস্তাঘাট সব পানিতে ডুবে গেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে।জানা গেছে, সিডরের তান্ডবে নিজামপুর ও কমরপুর পয়েন্টে ৪৭/১ পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত হয়। এরপর কয়েক দফা অপরিকল্পিতভাবে মেরামত করা হলেও বঙ্গোপসাগর লাগোয়া আন্ধার মানিক নদী মোহনার ঢেউয়ের তোড়ে ফের বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়। ফলে তিনটি বছর বাঁধ ঘেষা গ্রামগুলোর শত শত পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়ে। চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায়।নিজামপুর গ্রামের রুস্তুম আলী শরীফের ভাষ্য, ‘দুই বছর ধইর্যা ধার দেনা কইর্যা চলছি। প্রায় দুই লক্ষ টাহা দেনা। এ্যাহন কিছু কইতে পারিনা।
মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম আকন জানান, বাঁধ দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করার বিষয়টিসাবেক প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় এমপি আলহাজ মাহবুবুর রহমান তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বাঁধের এমন দুরাবস্থা হয়েছে যে এটি নতুন করে নির্মাণ করা না গেলে ওই এলাকার মানুষকে এ দূর্যোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কোন উপায় থাকবে না। আমি জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়টি নিয়ে জরুরী কথা বলব।’ নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অনেক আগেই অবহিত করা হয়েছে।