দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ জুন: সরকার নিরাপদ ও সুষ্ঠু নৌ চলাচল এবং যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্য বাস্তবায়নে কোন ধরণের অনিয়ম ও গাফিলতি বরদাশত করা হবেনা। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি সার্ভিস ও বিভিন্ন স্টীমার, লঞ্চসহ অন্যান্য জলযানের নিরাপদ চলাচল বিষয়ক এক সভায় এসব কথা বলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ঈদের সময় কোন ক্রমেই লঞ্চে যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবেনা। লোড লেভেল ক্রস করার আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে হবে। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন্য কোন মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল উঠানো যাবেনা।সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, ঈদের সময় লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া যাবেনা। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সকল মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখতে হবে। লঞ্চে যাত্রীর ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাষ্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ঈদের পূর্বে ০৩(তিন) দিন ও ঈদের পরে ০৩(তিন) দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় (সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত) সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। মাওয়া ও পাটুরিয়াঘাটে অধিক যাত্রী হলে প্রয়োজনে ফেরি দিয়ে যাত্রী পার করা হবে। সূর্যাস্তের পর স্পীডবোট চলবেনা। স্পীড বোটের যাত্রীদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়তে হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিজিলেন্স টিম গঠন করবে। ফেরীঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রনের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। ভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরে ঈদের ছুটি পুনঃবিন্যাস করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএইমইকে অনুরোধ জানানো হবে। ফেরি ঘাটে সিরিয়াল প্রদানের বিষয়ে কোন প্রকার অনিয়ম করা যাবেনা। যাত্রীসেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
সভায় জানানো হয় যে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃক পরিচালিত ১৪টি ফেরিঘাট ও ফেরিঘাট সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটগুলোতে ১লা জুলাই থেকে ইজারা প্রথা বন্ধ থাকবে। ফেরিতে উঠার আগে বড় বাস ও ট্রাক প্রতি ৪০ টাকা এবং ছোট গাড়ি প্রতি ২০ টাকা দিতে হবে।সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌ-পুলিশের মহাপরিচালক লঞ্চ মালিক, শ্রমিক, সড়ক পরিবহন ফেডারেশন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ, এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগন উপস্থিত ছিলেন।