31984_15

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২০জুন: ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সংসদে উত্থাপনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন৷২০ দলীয় জোট ভাঙবে না, বরং আরো বেশি শক্তিশালী হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. খন্দকার মাহাবুব হোসেন৷

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ভারতের সাথে নতুন চুক্তি: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন৷তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট কে করে, জোটে কে থাকবে-কে থাকবে না তা ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্ত নেবে, এতে সরকারের মাথাব্যথা কেন? আমার জানামতে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের এ কুচক্রে পা দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে ভেঙে দেবেন না৷বিএনপি ভারত বিরোধী মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কখনো ভারত বিরোধী ছিল না৷ গত ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনে ভারতের কংগ্রেস আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিল৷ তাই আমরা কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছি, ভারতের জনগণের নয়৷’তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করি, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নেবেন৷ কিন্তু তিনি যদি এ পদক্ষেপ না নেন তাহলের বাংলাদেশের জনগণ মোদির বিপক্ষে অবস্থান নেবে, ভারতের জনগণের বিপক্ষে নয়৷

বাংলাদেশ-ভারতের ২২টি চুক্তির প্রসঙ্গ তিনি বলেন, চুক্তিগুলোর বিষয়বস্তু কী সে বিষয়ে আমরা এখন অবগত হতে পারিনি৷ তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে সংবিধান চুক্তিগুলো সংসদে পেশ করুন৷ এবং এ বিষয়ে আলোচনা করে জনগণকে অবহিত করুন৷ খন্দকার মাহবুব বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চুক্তি করার পর তা সংসদে উত্থাপনের নিয়ম রয়েছে৷ কিন্তু ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার পর তা জনসম্মুখে কিংবা সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি৷ এমনকি কোনো বিবৃতিতেও তা জনগণকে জানায়নি সরকার৷তাই অবিলম্বে জনগণকে এসব চুক্তি বিষয়ে জানাতে তা সংসদে উত্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷তিনি বলেন, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরসহ সবকিছুই আমরা ভারতকে দিয়ে দিয়েছি৷ আর বিনিময়ে আমরা শুধু পেয়েছি ছিটমহল৷ তাই ভারত সরকারের কাছে আমাদের আশা, তারা তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করে ব্ন্ধুত্বের সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে৷আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহের সভাপতিত্বে আরো, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি সফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহীম বীরপ্রতিক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান হীরা, বিএনপির সহতথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ৷