016-500x350

দৈনিকবার্তা-কুড়িগ্রাম, ২০ জুন: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নীতিমালা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী। উপজেলার রমনা ঘাট, জোড়গাছ ঘাট ও পুটিমারী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে রাত-দিন উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ফলে কঠিন হুমকির মুখে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পসহ নদের তীর এলাকা। তীব্র ভাঙ্গণও শুরু হয়েছে।বিরতিহীনভাবে এসব এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন নির্মাণ কাজে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের খেয়ালখুশিমতো বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরবর্তী স্থানীয় কৃষকদের কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে কতিপয় প্রভাবশালী তাদের মারপিটের হুমকি প্রদান করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী অনেকবার অভিযোগ করার পরও কোন কাজে আসেনি। বালু সরবাহের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, ট্রলি মাসিক ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা স্থানীয় থানাকে নিয়ে তারা বালু সরবরাহের কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার বালু ভর্তি চিলমারী থেকে উলিপুরগামী ২টি এবং উপজেলা চত্বরে চিলমারী প্রেসক্লাবের নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য আর একটি বালুভর্তি ট্রাক্টর আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা। রাতে দু‘টি এবং পরদিন শুক্রবার অপর ট্রাক্টরটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন চিলমারী মডেল থানা কর্তৃপক্ষ। আটক করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর টাকা নিলেন পুলিশ! এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুচলেকা নিয়ে ট্রাক্টরগুলো ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু পুলিশ টাকা নিলে তা হবে দুঃখজনক। ট্রাক্টর মালিকরা বলছেন, বালু ব্যবসায়ীদের বালু উত্তোলন বন্ধ না করে আমাদের গাড়ী চলাচলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। অথচ পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে আমরা রোডে চলাচল করি। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।