দৈনিকবার্তা-রংপুর, ২০ জুন: বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে হাসপাতালের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে রংপুরে বেসরকারি নর্দানমেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা।শনিবার বিকেলে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।কর্মচারী ও নার্সরা হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আখলাক হোসেন ছন্দের রুমের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বাইরে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা তারা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।এদিকে নার্স ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দেওয়ায় রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এছাড়া এরই মধ্যে অনেকে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন।
আন্দোলকারী বলেন, গত ৪ মাস ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো বেতন দিচ্ছে না। এতে আমরা নিরুপায় ও অসহায় হয়ে পড়েছি। রমজান মাসে টাকা পয়সা না থাকায় আমার মানবেতর জীবন-যাপন করছি।তিনি বলেন, কবে নাগাদ আমাদের ভাগ্যে বেতন জুটবে তা কেউ বলতে পারছে না। মালিকদের কাছে গিয়ে বেতনে চাইলে তারা আজ দেব কাল দেব বলে সময় পার করছেন।তারা বলেন, প্রতি মাসের বেতন দেওয়ার সময় মালিক তাদেও প্রত্যেক কর্মচারীদের কাজ থেকে ৫ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কর্তন করে রাখতেন। সেই টাকা চাইলেও দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।এম এল এস মাহমুদা বেগম বলেন, ৪ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তাদের কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। বেতন চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে।
অথচ হাসপাতাল থেকে আয় হওয়া টাকা প্রতি মাসে মালিকেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের বেতনের টাকার কোনো খবর নেই। আমরা টাকা চাইতে গেলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে য়ায় বলেও অভিযোগ করেন মাহমুদা।এদিকে কর্মচারী ও নার্সদের আন্দোলনের কারনে সেখানে ভর্তি রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদেরও দেখা যায়নি।এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তার বলেন, নার্সরা কাজে যোগ দিয়েছেন। বেতন নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে আগামী মঙ্গলবার সকলের বেতন ভাতা দেওয়া হবে।তিনি বলেন, এখনো অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকা পাওনা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ থেকে টাকা পাওয়া গেলে আর কোনো অসুবিধা হবে না।এ ব্যাপারে নর্দান মেডিকেল কলেজের একাধিক পরিচালদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সকলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।