দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ জুন: জঙ্গিদের কাছে রাসায়নিক পদার্থ ও বিস্ফোরক সরবরাহের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিবি দক্ষিণের উপকমিশনার মো. মাশরুকুর রহমানের নির্দেশনায় এডিসি মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়।শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ঢাবির মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব সহকারী গাজী মোহাম্মদ বাবুল, টিকাটুলির তিন রাসায়নিক দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এশিয়া সায়েন্টিফিকের মালিক রিপন মোল্লা, ওয়েস্টার্ন সায়েন্টিফিক কোম্পানির মালিক মহিউদ্দিন ও এফএম কেমিক্যাল অ্যান্ড সন্সের মালিক নাসির উদ্দিন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামিয়া বাংলাদেশ (হুজি-বি) ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কাছে এসব বিস্ফোরক সরবরাহ করে বলে দাবি করেছে ডিবি।যুগ্ন কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, গত ৭ জুন ছয় কেজি বিস্ফোরকসহ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামিয়া বাংলাদেশ ও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের ৯ জন সদস্য গ্রেফতার হন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার এই চারজন তাদের কাছে বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রি করেছিলেন ।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান।শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৭ জুন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হুজি ও আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের বোমা বিশেষজ্ঞদের’ জিজ্ঞাসবাদে পাওয়া তথ্যে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এরা একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্কুল-কলেজ বা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য রাসায়নিক দ্রব্য কিনতে হলে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত প্যাডে, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সইসহ কাগজ জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু গ্রেপ্তার দোকান মালিকরা এসব তথ্য যাচাই না করেই টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রি করেছেন, যা বিস্ফোরক বানাতে ব্যবহার করা হয়।ল্যাব সহকারীর অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, প্রাক্তণ ছাত্র পরিচয় দিয়ে তার মাধ্যমে বিস্ফোরক কেনা হয়েছিল।মনিরুল ইসলাম বলেন, টাকার জন্যই এই চারজন জঙ্গিদের রাসায়নিক দ্রব্য সরবাহ করেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের আদর্শগত মিল রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।