index

দৈনিকবার্তা-খাগড়াছড়ি, ১৯ জুন: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ৪টি উপজেলায় ইউএনডিপি‘র’ অর্থায়নে পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ববধানে পরিচালিত ৪৯টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মানী বৃদ্ধি ও চালু রাখার দাবীতে গত ৭ই জুন বিকাল ৫টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে স্বারক লিপি প্রদান করেছে শিক্ষকরা। জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ও শিক্ষকের অভাবে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত ছিল কোমল মতি শিশু-কিশোরেরা।

ফলে সরকারের নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার পার্বত্যঞ্চলে বস্তবায়নে বাধা গ্রস্থ হওয়ার সম্মূখীন হওয়ার উপক্রমের মূহুর্তে অর্থাৎ ২০১০ সালে ইউএনডিপি‘র’ অর্থায়তনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার ৪টি উপজেলায় চালু করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্মসূচী। তারই আলোকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হয় ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর ফলে ৪০০ জন শিক্ষক ও ১০ হাজোরেরও বেশী কোমল মতি ছেলে-মেয়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় পড়া-লেখা শেখার। প্রতি শিক্ষককে সম্মানী প্রদান করা হতো ৩ হাজার টাকা করে। পরবর্তিতে ৪ হাজার টাকা করে।

অপর দিকে গত বছর ইউএনডিপির সাথে জেলা পরিষদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ফলে চলিত বছরের জানুয়ারী মাসে ইউএনডিপির সাথে আবারো চুক্তি করা হয় মাত্র ৬ মাসের জন্য। যা চলতি মাস জুনেই শেষ হবে বলে স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন এই চুক্তিতে সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষিকের জন্য মাত্র ২হাজার ২শত ২৫ টাকা করে। নাম মাত্র এই সম্মানী পাওয়ার পরও শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে যাচ্ছে। জেলার ৪টি উপজেলায় মধ্যে লক্ষীছড়ি, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ির ৪৯টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অধ্যাবদি জাতীয় করণ হয় নাই। এই পার্বত্য জেলা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্র“তি দেয়া অনুযায়ী ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে নাগাত জাতীয় করণ করা হবে তাও অ-নিশ্চিত বলে মনে করছেন শিক্ষিকারা।