দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ জুন: জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন এবং হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে প্রতি নাগরিককে অন্তত দুইশ টাকা করে দিতে হবে। এ নিয়ম চালু হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর এ ফি কার্যকর করতে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে ইসি। বৃহস্পতিবারই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা যায়।ইসি সূত্রে জানায, গত ১০ ফেব্র“য়ারি ফি নির্ধারণ করে এসআরও জারি করে ইসি। এবার ফি কার্যকর করতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত বিধামালার ৯ বিধি অনুসারে ইসি এ প্রজ্ঞাপন জারি করতে যাচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে- সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফি দেয়া বাধ্যতামূলক করে যে তারিখ নির্ধারণ করবে তখন থেকে তা কার্যকর করা হবে।
এদিকে নতুন বিধিমালা অনুসারে, জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন এবং হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিচয়পত্র নবায়ন করতে সাধারণ ১০০ টাকা ও জরুরি ১৫০ টাকা দিত হবে। হারিয়ে ফেললে বা নষ্ট হলে নতুন পরিচয়পত্র নিতে প্রথমবার আবেদনে ২০০ টাকা, জরুরি ভিত্তিতে ৩০০ টাকা। দ্বিতীয়বার আবেদনে ৩০০ টাকা, জরুরি ভিত্তিতে ৫০০ এবং পরবর্তী যে কোনোবার ৫০০ টাকা ও জরুরি প্রয়োজনে ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে। যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিধিমালায় সংশোধন এনে পরিচয়পত্র নবায়ন ও হারানো বা নষ্ট হলে নতুন পরিচয়পত্র নিতে ফি নির্ধারণ রয়েছে। তা কার্যকরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হারানো বা নষ্ট পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে ডুপ্লিকেট আইডি সংগ্রহে কোনো অর্থ দিতে হবে না বলে জানান তিনি।বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে লেমিনেটে পরিচয়পত্র দেয়া হয়। এর মেয়াদ রয়েছে ১৫ বছর। এ সময়ের পরই নবায়ন করা যাবে এ পরিচয়পত্র।
তবে হারানো বা নষ্ট হয়ে গেলে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র সংগ্রহে ইসির পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হয়। এ আবেদনের মাধ্যমে এতোদিন বিনামূল্যে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতো নাগরিকরা। এখন থেকে নির্ধারিত ফি ইসি সচিব বরাবর পে অর্ডার বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।এদিকে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এককালীন চুক্তির ফিও নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এককালীন ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এছাড়া প্রতিটি তথ্য প্রতিবার যাচাইয়ের জন্য দিতে হবে দুই টাকা করে। সরকারি সংস্থা ও বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে এককালীন ৫ লাখ টাকা সার্ভিস চার্জ রাখা হয়েছে। বার্ষিক এক লাখ টাকা এবং প্রতিটি উপাত্ত সরবরাহে এক টাকা করে দিতে হবে।