abul

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ জুন: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা বাড়ানো সম্পর্কিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা প্রতিবেদন আগামী মাসে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।একটি স্থায়ী বেতন ও চাকরি কমিশনও গঠন করা হবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি ঐ প্রতিবেদনের পর পরিস্কার হবে বলেও জানান তিনি।স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রণয়ন, সরকারি কর্মকর্তাদের মতো পদমর্যাদাক্রম ও বেতন নিশ্চিত করা, সরকারি কর্মকর্তাদের মতো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদমর্যাদাগত দাবিকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন।স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বাড়ানো সম্পর্কিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জুলাইয়ে চূড়ান্ত হলে সে ব্যাপারে জানা যাবে।বেতন ও চাকরি কমিশন স্থায়ীকরণের ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বেতন গ্রেড ২০ ধাপে রাখার পক্ষেও মত দেন।

উদ্যোগ নিয়েও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতার সংখ্যা কমানো যায়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।তিনি বলেন, আমার ইচ্ছে ছিল সরকারি, আধা-সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা রিডিউস করা। এত্ত ভাতা আছে আমাদের… এগুলো রাইটের মতো হয়ে গেছে, হাত দেওয়া যায় না।হাউজিং, ট্রান্সপোর্ট, আপ্যায়ন ও মেডিকেল ভাতা বাদে অন্য সব ভাতা উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এই বৈঠকে মুহিত জানান, বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা ১১ বা ১২ লাখের যে কথা বলা হয় তা ক্যাডার সার্ভিসভুক্ত।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সমন্বয়ে পে-কমিশন উঠিয়ে দেওয়ার কথা আবারও বলেছেন অর্থমন্ত্রী। পে-কমিশন উঠিয়ে দিতে চাই, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। পরিবর্তে স্থায়ী কিছু থাকবে যারা এসব বিষয় (বেতন-ভাতা) দেখবে।মুহিত বলেন, পাঁচ বছর পর পর প্রচেষ্টা ( বেতন বাড়াতে পে-কমিশন) মনে হয় এবারই লাস্ট। এরপর পারমানেন্ট কিছু থাকবে। বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত ১৩ মে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল বেতন ধরে বেতন কাঠামো সুপারিশ করে সচিব কমিটি।

এখন অর্থমন্ত্রণালয় সচিব কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি চূড়ান্তে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবে। আগামী ১জুলাই থেকে অষ্টম বেতন স্কেল কার্যকর করবে সরকার। পে-কমিশন এবং এ সংক্রান্ত সচিব কমিটির প্রতিবেদন দেখছি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেখানে কনসিডারেশনের পরে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসকাশন হবে।সপ্তম পে-কশিনের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পর্যালোচনার পর একটি মন্ত্রিসভা কমিটি হয়েছিল জানিয়ে মুহিত বলেন, এবার সেই কমিটি হবে কি না জানি না, নাও হতে পারে।আগামী মাসের মধ্যে পে-কমিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। যখনই এটা চূড়ান্ত হোক না কেন জুলাই থেকেই কার্যকর হবে। সেটা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।সরকারের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া নিয়ে খেদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বছর শেষে তথ্য পেতে তিন মাস লেগে যায়। তবে দিনের শেষে তথ্য পাওয়া যায়।