any

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ জুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়া হয়।দুদক সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া দুদকের তদন্তে তার বিরুদ্ধে মোট এক কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় এ চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এর আগে ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় (মামলা নম্বর ১৪) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এ্যানীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে এবার অব্যাহতি পেয়েছেন সিটি এসবির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রটেকশন ও প্রটোকল) মো. রফিকুল ইসলামকে। দুদকের উপপরিচালক মো. হামিদুল হাসান অভিযোগটি তদন্ত করেন।দুদক সচিব মাকসুদুল হাসান খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, মো. রফিকুল ইসলাম (বিপি-৬১৮৯০৩০৬৯৩) ডিআইজি (প্রটেকশন ও প্রটোকল) ষ্পেশাল ব্রাঞ্চ এর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক কর্তৃক নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আদেশটির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ডিআইজি রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সূত্র মতে, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ রফিকুল ইসলাম পদ-পদবি ব্যবহার করে অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। পিতা মরহুম হাতেম আলী মোল্লা ছিলেন গ্রাম্য ডাক্তার। বহু কায়-ক্লেশে সন্তানদের বড় করেন তিনি। রফিকুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে চাকরিতে ঢোকার সময় গ্রামের বাড়িতে ছিল সাধারণ একটি টিনের ঘর। পরে কালিয়াকৈর ফুলবাড়িয়া বাজারে খাস জমিতে একটি টিন শেড বাড়ি করেন রফিক। চাকরির কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পান। পদ-পদবি ব্যবহার করে দু’হাতে কামাতে থাকেন অর্থ। কম করেও এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক। তার অর্জিত সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ৩টি বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকা। উত্তরায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা দুটি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা।