saka

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ জুন: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিল শুনানি রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরুর পরে দুপুর ১টার দিকে রোববার পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।আদালতে সাকা চৌধুরীর পক্ষে পেপারবুক পাঠ করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এস শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।এর আগে মঙ্গলবার আদালতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

গত ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালÑ১ তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়।আগামী রোববার পর্যন্ত আপিল শুনানী মূলতবী করা হয়।প্রথমে শুনানি করছেন আসামিপক্ষ। ট্রাইব্যুনালের রায় ও রায় সংক্রান্ত নথিপত্র ( পেপারবুক) আজও পাঠ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার পর পরই গতকাল শুরু হলো আপিল বিভাগে আসা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম আপিল মামলার শুনানি। মুজাহিদের আপিল মামলাটি হলো চতুর্থ মামলা যা আপিলে নিস্পত্তি হলো। এর আগে আরো তিনটি মামলা আপিলে নিস্পত্তি হয়।আসামী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালে যে সব অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দন্ড দেয়া হয়েছে আপিলে সে সব অভিযোগ থেকে খালাসের আর্জি জানানো হয়েছে।

এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে রাস্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। তবে আপিলে আসামীপক্ষের শুনানির সময় রায় বহাল রাখার পক্ষে আর্জি পেশ করে যুক্তি উপস্থাপন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৩ সালের ১অক্টোবর ট্রাইব্যুনালÑ১এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে ৩,৫,৬ ও ৮ নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে মৃত্যুদন্ড. ২,৪ ও ৭নং অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ২০ বছর করে জেল এবং ১৭ ও ১৮ নং অভিযোগে তাকে ৫ বছর করে জেল দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল-১।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। সাকা চৌধুরীকে ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে হরতালে গাড়ী পোড়ানো ও ভাংচুরের এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।