দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ জুন: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উগান্ডার রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সহযোগিতা চেয়েছেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ উগান্ডায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য উগান্ডা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।বাণিজ্যমন্ত্রী বুধবার তাঁর কার্যালয়ে ভারতের নয়াদিল্লীতে নিযুক্ত (বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত) উগান্ডার হাই কমিশনার এভিজাভেদ পার্ল নাপেওয়াক সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, উগান্ডায় বাণিজ্যবৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সেখানে বাংলাদেশের তৈরী সিরামিক, তৈরী পোষাক, ঔষধ, পাটের তৈরী পণ্য এবং প্লাষ্টিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।তিনি বলেন, সেখানে কৃষি খাতে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। উগান্ডা সরকার চাইলে দু‘দেশের মধ্যে বাণিজ্যমেলা এবং বি টু বি (বিজনেসম্যান টু বিজনেসম্যান) আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে উভয় সদেশের মধ্যে ডিউটি ফ্রি বাজার সুবিধা থাকা একান্ত প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিও‘তে স্বল্পোন্নত দেশের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ ফার্মাসিটিক্যাল পণ্যের জন্য স্বল্পোন্নত দেশ সমুহের অনুকুলে টিআরআইপিএস-এর কতিপয় শর্তাবলী রহিত করণের সময়সীমা ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসম্বের এর মেয়াদ শেষ হবে। বালি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন, বিশেষ করে সেবামূলক খাতে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য ওয়েভার প্রথা চালু হলে এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং উগান্ডা উভয় দেশ উপকৃত হবে।
এ সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে উগান্ডার সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উগান্ডায় সিরামিক, তৈরী পোষাক, ঔষধ, পাটের তৈরী পণ্য এবং প্লাষ্টিক সামগ্রী রপ্তানি করেছে। উগান্ডা থেকে বাংলাদেশ মূলত তুলা আমদানি করছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ উগান্ডা থেকে ৬.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে সেখানে ২.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। সেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৩.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও আমদানিকৃত তুলা বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।তিনি বলেন, উগান্ডায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহণ করে এবং উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মতবিনিময়ের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব এটিএম মুর্তজা রেজা চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেছি এবং ঢাকায় নিযুক্ত উগান্ডার অনারারি কনসুল আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।এর আগে মন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভেয়েজি‘র সাথে মতবিনিময় করেন।