দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ জুন: স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত বিজিবি সদস্যকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকেদর সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, নাফ নদীতে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছিল। ওপাশে বিজিপির সদস্যরাও টহল দিচ্ছিল। আমাদের একটি টহল বোট জালে আটকা পড়ে পিছে পড়ে যায়। এসময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে উভয়পক্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির এক সদস্য আহত হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
তিনি জানান, বিজিবির নায়েক রাজ্জাক বিজিপির কাছে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে। গুলি বিনিময়ের ঘটনা তদন্ত করে কারণ উদ্ঘাটন করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ভুল বোঝাবুঝির কারণে উত্তেজনা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের ওপর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা গুলি চালিয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।বুধবার ভোররাতে নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টে এ ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরেকজনকে।
দুপুরে স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাফ নদীতে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) গুলি চালায়।ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সিপাহী বিপ্লবকে (২১) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।আর বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মিয়ানমার সীমান্তে একটি ক্যাম্পে রেখেছে বিজিপি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শিগগিরই তাকে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ধরনের ভুল যাতে না হয় সে বিষয়ে দুই দেশ আরও সতর্ক হবে। টেকনাফে কি ঘটেছিল জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাফ নদীর মাঝ বরাবর ভাগ করে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা টহল দেয়। বিজিবির একটি জলযান টহল দেওয়ার সময় মাছ ধরার জালে বাধাগ্রস্ত হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।তবে টেকনাফ বিজিবি ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছে, তার সঙ্গে কামালের এই বক্তব্যের মিল নেই।বিজিবি টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বিজিবির একটি দল ভোরে নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টে টহল দিচ্ছিল। একটি মাছ ধরার ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন তারা।
এ সময় পূর্ব দিক থেকে আরেকটি ট্রলারে করে মিয়ানমারের বিজিপি বাহিনীর সদস্যরা এসে বিজিবির নৌকায় গুলি চালায়। ওরা গুলি করার পর বিজিবি সদস্যরাও গুলি ছুড়ে জবাব দেয়। মানবপাচারকারী বা চোরাচালানী মনে করে বিজিপি গুলি করায় ভুল বোঝাবুঝিতে অনাকাক্ষিত এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।