দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ জুন: আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি শেষ হয়ে যায়নি আদতে এমন বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া প্রকারান্তে স্বীকার করে নিয়েছেন যে বিএনপির অবস্থা নাজুক। বিএনপিতে ভাঙ্গনের সুর, বিএনপি শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী যেমন লাইফ সাপোর্টে থাকে বিএনপিও তাই।বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গমাতা পরিষদ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতথিরি বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বিএনপির এই শোচনীয় অবস্থার জন্য খালদো জিয়াকে দায়ী করে হাছান মাহমুদ বলেন, তার কারণেই বিএনপির এ দশা।তার কারণেই বিএনপি এখন সংসদ নাই, যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী-প্রট্রোল বোমাবাজদের দল।বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অনেক বড় দল। তাই বিএনপিকে বাঁচাতে হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাত থেকে বিএনপিকে রক্ষা করতে হবে।আওয়ামী লীগকে জঙ্গিবাদি বলে খালেদা জিয়া জাতির সাথে কৌতুক করেছেন উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন,তিনি জঙ্গিবাদের নেত্রী, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত। তার শাসনামলেই জঙ্গিবাদের উত্থান। বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, মুফতি হান্নানের উত্থান। ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র পাচারের ঘটনা হাওয়া ভবনের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তৎপরতার অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি নেতৃত্ব থেকে সরানোর জন্য উদ্যোগী হওয়া উচিত।তিনি বলেন, বিএনপিকে দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের মতো আমরাও একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখতে চাই। কোন জঙ্গীবাদী সংগঠন হিসেবে নয়।তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি সংসদে নেই, জামায়াতের মতো জঙ্গীবাদী দল নিয়ে গঠিত ২০-দলীয় জোটের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বিএনপি এবং পেট্রলবোমাবাজদের সংগঠন বিএনপি। তার নেতৃত্ব থেকে বিএনপিকে রক্ষা করার কোন বিকল্প নেই।এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে জঙ্গীবাদের উৎপাতের জন্য বিএনপি দায়ী। কেননা বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চার-দলীয় জোট সরকারের সময় সরকারী মদদ না পেলে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটত না।
তিনি বলেন, জঙ্গীবাদের সাথে যারা জড়িত তারা সকলেই জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। তারা সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল লোকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনিত করে। তারা কখনো বিএনপি বা মৌলবাদী শক্তিকে টার্গেট করে না।তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান জঙ্গীদের গডফাদার আর বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গীবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক।তিনি বর্তমান সরকারের মেয়াদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারের কাজ সম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বঙ্গমাতা পরিষদ সোনাল ব্যাংকের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল কাদির। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মুরাদ, এম এ করিম প্রমুখ।