দৈনিকবার্তা-টেকনাফ, ১৭ জুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীতে টহলরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে এক বিজিবি সদস্য গুলিবিদ্ধ ও অপর একজন নিখোঁজ রয়েছেন৷ সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল খালেকুজ্জামান ঘটনার পর টেকনাফ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷টেকনাফ সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝি থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন৷বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনার পর বিজিবির আরেক সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা৷বিজিবি টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টে ইয়াবা উদ্ধারে একটি ট্রলার তল্লাশি চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে৷গুলিবিদ্ধ সিপাহী বিপ্লবকে (২১) কঙ্বাজার সদর হাসপাতালে চিকিত্সাঘ দিয়ে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷আর ধরে নিয়ে যাওয়া বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে বিজিপির একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে৷বিজিবির চট্টগ্রাম (দক্ষিণ-পূর্ব) অঞ্চলের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল একরাম খান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে বিজিপির সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে৷ নায়েক রাজ্জাক ভাল আছেন৷ তাকে ফিরিয়ে আনতে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ টেকনাফ বিজিবির অধিনায়ক জাহিদ বলেন, ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে বিজিবির একটি দল ভোরে নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্টে টহল দিচ্ছিল৷ ইয়াবা থাকতে পারে এই সন্দেহে একটি মাছ ধরার ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন তারা৷
এ সময় পূর্ব দিক থেকে আরেকটি ট্রলারে করে মিয়ানমারের বিজিপি বাহিনীর সদস্যরা এসে বিজিবির নৌকায় গুলি চালায় বলে লেফটেনেন্ট কর্নেল জাহিদ জানান৷ ওরা গুলি করার পর বিজিবি সদস্যরাও গুলি ছুড়ে জবাব দেয়৷ মানবপাচারকারী বা চোরাচালানী মনে করে বিজিপি গুলি করায় ভুল বোঝাবুঝিতে অনাকাঙি্ক্ষত এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে৷এ সময় সিপাহী বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন; নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি৷কঙ্বাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্স ক নোবেল বড়ুয়া জানান, বিজিবি সদস্যরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিপ্লবকে ওই হাসপাতালে নেন৷তার ডান হাতে একটি গুলি লেগেছে৷ আরেকটি গুলি তার মাথার বাঁ দিক ছুঁয়ে গেছে৷পরে দুপুরে বিপ্লবকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে লেফটেনেন্ট কর্নেল জাহিদ জানান৷তিনি বলেন, রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের বিজিবি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিমের সঙ্গে মিয়ানমারের ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশের ব্রিগেডিয়ার থিন কোকোর কথা হয়েছে৷ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে৷