দৈনিকবার্তা-লালমনিরহাট, ১৭ জুন: বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে সুবিধা বঞ্ছিত ছিটমহলের কোন শিশু-কিশোরকে আর মিথ্যা পরিচয়ে স্কুল কলেজে পড়তে হবে না। এখন থেকে তারা বাংলাদেশী পরিচয়ে লেখা পড়া শিখবে। আর ছিটমহলবাসীর চাকুরি লাভের বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারের কাছে কোঠা চাইবো।বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ১১৯ নং বাঁশকাটা ছিটমহলবাসীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এসেছি আপনাদের সবার কথা শোনার জন্য। আপনারা আর আগের মত নিজেকে অসহায় মনে করবেন না। মনে করবেন না আপনাদের পাশে কেউ নেই।জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ছিটবাসীর জন্য আছে এমন কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আপনাদের বঞ্ছনার ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটাতে চাই। আপনাদের সব সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা এখান থেকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়গুলো অবগত করবো।
সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও অসুবিধার কথা শুনে তাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনাদের জন্য অনতিবিলম্বে জাতীয় পরিচয় পত্র ও ভোটার আইডি’র কাজ সম্পন্ন করা হবে। এসময় তিনি বাঁশকাটা ছিটমহলের অধিবাসী সামছুন্নাহারের স্নাতক ডিগ্রী লাভের কথা শুনে প্রশংসা করেন। সেই সাথে তাকে চাকুরি দেয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান।এর আগে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ১১৯ নং বাঁশকাটা ছিটমহলে পৌঁছলে সেখানকার বাসিন্দারা মানবাধিকার কমিশনারকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন, মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ইমাম উদ্দিন কবির, কানাডীয় প্রফেসর লায়াল ছুংগা, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, নির্বাহী অফিসার নূর কুতুবুল আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা রেজাউল করিম রেজা, জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদুন্নবী শাহিন, ছিটমহল সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির লালমনিরহাট জেলার সভাপতি শাহ আব্দুল হামিদ আফতাবী বকুল, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমূখ।