দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ জুন: পুরো রমজান মাসজুড়ে সব ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম রমজান থেকেই রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৈফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ কাদেরের নেতৃত্বে সমিতির নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।তিনি ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত আলোকসজ্জা নজরে আনেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত রমজানে পনের রোজার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। সাধারণ নিয়মে রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।প্রতিমন্ত্রী জানান, রমজানে সেহরি ও ইফতার হবে লোডশেডিং মুক্ত। তবে ওই সময়ে বিদ্যুতের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত লাইট ব্যবহার পরিহার ও এলইডি লাইট ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।সেহরি ও ইফতারের সময়ে এসি ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সারাবছর রাত ৮টার মধ্যে দোকান-পাট বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পবিত্র রমজান উপলক্ষে এ নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে। শুরুর পর ১৫ রোজা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাটে খোলা রাখা যাবে। ১৫ রোজার পর থেকে বাজারে যতক্ষণ ক্রেতা থাকবে ততক্ষণ দোকান খোলা রাখা যাবে।গতবছরে ১৫ রোজার পর দোকান খোলা রাখার নিয়মকানুন শিথিল করা হলেও এ বছর প্রথম থেকেই তা করা হলো।বিপণী বিতানগুলো রাত পর্যন্ত খোলা রাখলেও তাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টওতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা যাবে না, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।