25820

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ জুনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এবং যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ও যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভৌগলিক গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে জনগণের জীবনমান উন্নত করে দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করাই আমাদের লক্ষ্য।এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ বাড়িয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমার ইতোমধ্যে ‘বিসিআইএম ইকোনমিক করিডর (বিসিআইএম-ইসি)’ নামক যৌথ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।লন্ডনের পার্ক লেন হোটেলে রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এক সাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।ভারতের সাথে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনা সভা আয়োজন করে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।বিখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসী বাংলাদেশী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের দেয়া মানপত্র পড়ে শোনান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র বেশ কয়েকটি কপি পাওয়ার পর অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের বেশকিছু সংখ্যক সদস্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার দলীয় এমপি এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী, কার্ডিফ সেন্ট্রালের লেবার দলীয় এমপি জো স্টিভেনস, ইলফোর্ড নর্থের লেবার দলীয় এমপি ওয়েস স্ট্রিং, ইলফোর্ড সাউথের লেবার দলীয় এমপি মাইক গেপস এবং সুতন ও চীপের রক্ষণশীল দলের এমপি পাউল স্কাউলি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি, ঝিনাইদাহ’র আওয়ামী লীগ সাংসদ নবী নেওয়াজ, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে অন্যান্য শহীদ, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান উন্নয়নের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্র“ হিসাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াই চালাতে হবে। তিনি বলেন, কেবল নিজেদের নিয়ে ভাবনাটা সঠিক হবে না। আমাদেরকে প্রতিবেশীদের নিয়েও ভাবতে হবে।ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নকে সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সাফল্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে একের পর এক সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মায়ানমার-ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেও আন্তর্জাতিক সাশিলী আদালতে মামলা রজ্জুর মাধ্যমে সমুদ্রসীমা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে।তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি এবং এ আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বাঙালি জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে।নাগরিক সংবর্ধনায় ভৌগলিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ভৌগলিক অবস্থার যে গুরুত্ব রয়েছে, সে গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য।দারিদ্র্যকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্র“ হিসাবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শুধু নিজেদের কথা নয়। প্রতিবেশীদের কথাও ভাবতে হবে।ভারতের সঙ্গে স্থলসীমা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশের বাইরে এই নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। লন্ডনের পার্ক লেইন শেরাটনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টিউলিপ সিদ্দিকসহ উপস্থিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের অভিনন্দন জানানো হয়।

পরে শেখ হাসিনা ইলফোর্ড সাউথে লেবার এমপি মাইক গ্যাপস, কার্ডিফ সেন্ট্রালের লেবার এমপি জো স্টেভেনস, ইলফোর্ড নর্থের লেবার এমপি অয়েস স্ট্রিটিং, সাটোন ও কিমের কনজারভেটিভ এমপি পল স্কালি রক্ষণশীল দলের এমপি পল স্কালির হাতে ফুলের তোড়া ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি সংস্করণ তুলে দেন। সবশেষে শেখ হাসিনা তার ভাগনি টিউলিপের হাতের ফুলের তোড়া ও বই তুলে দিয়ে কপালে চুমু খান।অভিনন্দনে সিক্ত হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের কথাও বলেন।নিজের নির্বাচনী এলাকা ও সব সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাইক গ্যাপস ১৯৯৫ সালে পিটার শ্যোরকে বাংলাদেশ সফরের যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি তখন গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। আপনি অনেকদূর পথ পেড়িয়ে এসেছেন।পিতার চাকরির সুবাদে মিয়ানমারে থাকার কথা উল্লেখ করে পল স্কালি বলেন, আমি শুটকি খেতে পছন্দ করি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসাও করেন রক্ষণশীল দলের এই সংসদ সদস্য।জয় বাংলা বলে নিজের বক্তব্য শেখ করেন স্কালি।আর সালাম দিয়ে বক্তব্য শুরু করে বাংলাদেশ সফরের আশা প্রকাশ করেন অয়েস ট্রিটিং। তিনিও জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেন। সব শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে টিউলিপ বলেন, আসলে কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি, নিজের খালার হাত থেকে ফুল পাব।উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী বলেন, আপনারা দোয়া করেছেন। আপনাদের সাপোর্ট ছাড়া আমি ব্রিটিশ এমপি হতে পারতাম না।রুশনারা আলী ও রূপা হকের সদস্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, আমি খুব গর্বিত বাঙালি তিনজন এমপি হয়েছে।আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার ভাগনি বলেন, প্রথমে সিলেটে যাব। তারপর, ঢাকায়।এক হাজার ভোটে জয়ী হওয়ার কথাও বলেন টিউলিপ।তিনি বলেন, আমার এলাকায় এক হাজার বাঙালি ভোট রয়েছে।অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে মানপত্র তুলে দেন কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী। এসময়, তিনি শেখ হাসিনার মাথায় হাত রাখেন। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যখনই বিপদ দেখেছি, সব সময় ওনার লেখনি সাহস জুগিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মাঝে মধ্যে কষ্ট দিয়েছে। সেটাও ভালো। সেটা থেকে আমরা সতর্ক হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।মঞ্চে বসে থাকা গাফফার চৌধুরী এসময় মিটমিট করে হাসছিলেন। শেখ হাসিনা বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, এতো প্রশংসা পাওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। আমার পরিচয়, আমি জাতির পিতার কন্যা।আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই আমার লক্ষ্য। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাঁধা আসবে। সেই প্রতিকূলতা ঠেলেই এগিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার মিলে আমরা যৌথভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি।তিন কোটি মেট্রিক টনের বেশি অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভূমিকম্পের পর নেপালে দশ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানোর কথাও বলেন।তিনি বলেন, নেপালের প্রয়োজন হলে আমরা এক লাখ মেট্রিক টন চাল পাঠানোর কথা বলেছি। আমরা এই সক্ষমতা অর্জন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান, নেপাল, ভারত আর আমরা মিলে সহযোগিতার কথা বলেছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শুরুতেই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে কাউকে বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। রোববার লন্ডনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, লন্ডনে বসে বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবে- এটা হবে না।ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অর্জনের জন্য লন্ডনের পার্ক লেইন শেরাটন হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওই সংবর্ধনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠান চলাকালে ওই হোটেলের বাইরে যুক্তরাজ্য বিএনপির শখানেক কর্মী কালো পতাকা, ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় দুজনের হাতে ঝাড়ুও দেখা যায়। পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থেকে হ্যান্ড মাইকে তাদের গো ব্যাক হাসিনা, জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো স্লোগান দিতে শোনা যায়।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় স্থানীয় বিএনপিকর্মীদের এ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিরুদ্ধে ডেমোনস্ট্রেশন কীসের জন্য? স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি তার প্রতিবাদে? সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি তার প্রতিবাদে?প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে আমাদের যেমন ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ আছে, সেইসঙ্গে আমাদের ম্যান মেইড ক্যালামিটিজও আছে। দুটোই আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। জ্বালাও- পোড়াও, খুন, হত্যা-আর তার মূল হোতা তো এখানেই বসে আছে।বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দুর্নীতির জন্য সমালোচিত তারেককে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন যান তিনি। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি এখনো সেখানেই রয়েছেন।একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক প্রবাসে দলের বিভিন্ন সভায় বিতর্কিত বক্তব্যও দিয়ে আসছিলেন। তার সেসব বক্তব্যের কারণে দেশে রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির কয়েক ডজন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত এপ্রিলে জারি করা হয় ইন্টারপোলের রেড নোটিস।

লন্ডন থেকে তারেকের নির্দেশেই চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশে বিএনপি জোটের আন্দোলনে ব্যাপক নাশকতা চালানো হয় বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভিযোগ।সেই নাশকতা প্রসঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,যারা পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে এবং এর নির্দেশ দিয়েছে, তাদের বিচার করা হবে। জ্বালাও- পোড়াও, খুন-হত্যার হোতা তো এখানেই আছে। এতিমের অর্থ যারা চুরি করে খেয়েছে, তাদেরও বিচার হবে।বিভিন্ন সময়ে বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেটাকে গোলামি গোলামি চুক্তি বলতে বলতে গলা শুকিয়ে মরেছে, আবার সেটাকেই এখন সবাই সমর্থন করে। তো ভারতের প্রাইম মিনিস্টার যখন গেল, উনি এখানে ডেমোনস্ট্রেশন দেন… উনার মা তো যেয়ে দুই হাত দিয়ে মোদীর হাত ধরে আছে।বিএনপিনেত্রীর উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন এত খোশামোদি তোষামোদি, কিসের আশায়?৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ শেখ হাসিনা বলেন, বছরের শুরুতে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড না হলে প্রবৃদ্ধি ৭ হতো।