30371_110

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ জুনঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে একটি চক্র এরই মধ্যে ৬০ লাখ টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম৷পুলিশ জাল নোট তৈরি ও বাজারজাতকরণ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানা

ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ গত শনিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার পশ্চিম কাফরুল তালতলায় অভিযান পরিচালনা করে ছাপা-অর্ধছাপা ৪০ লাখ টাকা মূল্যমানের জালটাকা ও সরঞ্জামাদিসহ সংঘবদ্ধ জালটাকা প্রস্তুতকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ৷গ্রেফতারকৃতরা হলো জালিয়াত চক্রের মো. হাওলাদার সোহেল, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. আলামিন, মো আরিফ আরমান ওরফে নিপু, মো শফিকুল ইসলাম ও মো. সোহেল মিয়া৷এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছাপা-অর্ধছাপা বাংলাদেশীয় ৪০ লাখ টাকা মূল্যমানের ১০০০ টাকা নোটের জালনোটসহ বিপুল পরিমাণ টাকা তৈরির কাগজ, ৮টি জালটাকা তৈরির ফ্রেম, রং, নিরাপত্তা সুতা, ২টি ল্যাপটপ, ২টি প্রিন্টার, ৮ ব্যান্ডেল জলছাপ দেয়া ১০০০ টাকা লেখা কাগজ, ২টি কাটর্ার ও টাকা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়৷ উদ্ধারকৃত জালটাকা ও টাকা তৈরির সরঞ্জামাদির মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা৷প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা জালটাকা তৈরির মূলহোতা মো. হাওলাদার সোহেল ও তার সহযোগী মো. মাজহারম্নল ইসলাম শেরেবাংলানগর থানার ২৪৩ বেগম রোকেয়া সরণী, পশ্চিম কাফরুল তালতলাস্থ মিয়াধর সড়ক, কবরস্থান গলি ফিরোজ সাহেবের বাড়ীর ৫ম তলায় টিনসেড ভাড়া নিয়ে জালনোট তৈরির কারখানা স্থাপন করে বাংলাদেশী জালনোট প্রস’ত করতঃ ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল৷

তারা আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত মো.হাওলাদার সোহেল প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর যাবত্‍ জালটাকার ব্যবসার সাথে জড়িত৷ বিভিন্ন সময় সে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা, ভারতীয় রুপি, ডলার, ইউরোসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের টাকা তৈরি করে দেশব্যাপী বিসত্মৃত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে বাজারজাত করে থাকে৷ তারা ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাজারে যখন টাকার চাহিদা বাড়ে তখন তারাও তত্‍পর হয়ে ওঠে৷ আসন্ন রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে গ্রেফতারকৃত সোহেল প্রায় ১ কোটি মূল্যমানের জালটাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে অপর সহযোগী মো. মাজহারম্নল ইসলামের বাসায় জালটাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করেছিল৷ ইতোপূর্বেও সে ও তার সহযোগীরা একাধিক বার পুলিশের হাতে জালটাকা প্রস্তুত ও কেনা-বেচা করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে৷ এই চক্রের সবার নামেই রাজধানী বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে৷ডিসি-ডিবি (পশ্চিম) মো. সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়৷