Musa

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ জুনঃ সুইস ব্যাংকে জব্দকৃত মুসা বিন শমসেরের ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা উদ্ধারে তার পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নামছেন ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠান ‘টনি ব্লেয়ার অ্যাসোসিয়েটস’।আগামীকাল সোমবার সুইজারল্যান্ডের আদালতে মুসার এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত মুসার জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ড্যাটকো লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সূত্র বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০০৮ সালে মুসা বিন শমসেরের সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট জব্দ করে সুইস কর্তৃপক্ষ। ওই সময় তার অ্যাকাউন্টে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। জব্দ করার পর ওই বছরই অর্থাৎ ২০০৮ সালেই অর্থ ফেরত পেতে সুইস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রিন্স মুসা।আগামীকাল সুইজারল্যান্ডের আদালতে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আর এ মামলায় মুসার পক্ষে টাকা অবমুক্ত করাতে আইনি সহায়তায় লড়ছেন ইংল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠান ‘টনি ব্লেয়ার অ্যাসোসিয়েটস’। সঙ্গে আছে আরো তিন প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী। অন্যদিকে সুইস কর্তৃপক্ষের পক্ষে লড়ছেন ব্যাংকের নিজস্ব আইনজীবীরা।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সুইস আদালতে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ১৫ জুন নির্ধারণ করা হয়। দীর্ঘ ৬ বছর পর সুইস আদালতে আগামীকাল সোমবার এ মামলার শুনানি হবে। শেষ পর্যন্ত মামলায় জয়ী হবেন বলে আশা করেন প্রিন্স মুসা। সেই সঙ্গে সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এতে সহযোগিতা করলে জব্দকৃত টাকা উদ্ধার করা আরো সহজ হবে। কেননা সুইস ব্যাংক থেকে ওই টাকা অবমুক্ত করতে পারলে পুরো টাকাই তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন বলে উল্লেখ করেন ড্যাটকো লিমিটেডের কর্মকর্তারা।এ বিষয়ে মুসা বিন শমসেরের বরাত দিয়ে ড্যাটকো গ্রুপের ব্যবস্থাপক মিনহাজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহযোগিতা করলেই আমাদের জয় হবে। সুইস ব্যাংক থেকে ওই টাকা অবমুক্ত করতে পারলে পুরো টাকাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আইনজীবীর মাধ্যমে দুদক সচিব বরাবর ১৬ পৃষ্ঠার সম্পদ বিবরণী জমা দেন মুসা বিন শমসের। সেখানে সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত সুইস ব্যাংকের তার একক হিসাব নম্বরেই (অ্যাকাউন্ট) সাড়ে ৯৩ হাজার টাকা আছে বলে উল্লেখ করা আছে। সেই সঙ্গে ৯০ মিলিয়ন ডলারের (৭১১ কোটি টাকা) সমপরিমাণ পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান পদার্থ প্লাটিনাম, হীরা ও স্বর্ণালঙ্কারের কথা বলা তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে।