Bogra Pic-14 (3)

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ১৪ জুনঃ  যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভাঙ্গা পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবণতি হচ্ছে। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রবেশ করা পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা নদী ফুসে উঠেছে। প্রবল বেগে পানি জনবসতির দিকে ধেয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালী, হাওড়াখালী, কৈখালি, দড়িপাড়া, পাইকরতলী, বুরুইল ও সাতভিটাসহ ৭টি গ্রাম এবং ধুনটের চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল, হটিয়ারপাড়া, গুলাইর তাইড়, চিকাশি, সুতানাড়া, গজারিয়া, দড়িপাড়া ও গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ছোট দিয়াড়সহ প্রায় ১০ গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, পানি বাড়ার সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি হতে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছিল। ইতোমধ্যে বাঁধের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তীব্র স্্েরাতের কারণে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটির সংযোগ এলাকা গোদাখালির নিকট পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কিছু স্লোব ধসে গেছে । বাঁধের প্রায় ৮০ মিটার ভাঙা অংশ দিয়ে যমুনার পানি ব্যাপক হারে প্রবেশ করছে। যে কোন সময় পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি ভেঙে গেলে গোদাখালী গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, পানির প্রবল ¯্রােতে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গা স্থান আরো প্রসারিত হচ্ছে। সেখানে আপাতত মেরামত করার কোন পরিকল্পনা নেই। ফলে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে এখন চরম আতংক বিরাজ করছে। লোকজন ঘরবাড়ি ও মালামাল নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে পড়ছে। ইতো মধ্যে প্রায় অর্ধশত পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।