Thakurgaon Sisu Pic-2

দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ১৪ জুন: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার উম্মে হাবিবা ভালুকায় বালিকা মাদ্রাসার ২০জন শিক্ষার্থী মাথার উকুন তাড়ানোর জন্য বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকা জনক। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই মাদ্রাসার অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন: লিজা (১১), মিতু (৯). মুসলিমা (১৪), আখি (১৩), স্বর্না (৯), , কেয়া (১২), আরিফা (১২), জান্নাত (১২), কেয়া-২ (১১), সাদিয়া (৮), মারিয়া (১৩), কেয়া-৩ (১৩), রিমা (১৩), রুমা (১৩)।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চন্ডিপুর এলাকার উম্মে হাবিবা ভালুকায় বালিকা মাদ্রাসার মুসলিমা নামে এক শিক্ষার্থী বিষাক্তা কীটনাশক দিয়ে মাথার উকুন তাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন তার সহ পাঠিদের। তার মতে ওই মাদ্রাসার ২০জন শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় নারিকেল তেলের সাথে ওই বিষাক্ত কীটনাশক মিশিয়ে উকুন তাড়ানোর জন্য মাথায় প্রয়োগ করেন। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যে বিষের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে সকলে মাথা ঘুরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষনিক ভাবে মাদ্রাসার কতৃপক্ষ ও এলাকাবাসী ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকা জনক।

হাসপাতালে কতর্ব্যরত চিকিৎসক জুয়েল জানান, শিক্ষার্থীরা ভুল পরামর্শে মাথায় বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উম্মে হাবিবা ভালুকায় বালিকা মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ জানান, অসাবধানতায় শিক্ষার্থীরা উকুন তাড়ানোর জন্য মাথায় বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। এতে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়েছে। ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, অসচেতনার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে হাসপাতালে গিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।