দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ জুন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চিকিৎসার জন্য আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়েছে। তিনি কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির এ তথ্য জানান।মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ মির্জা ফখরুলকে বিএসএমএমইউতে ভর্তির আদেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে আনা হয়েছে।এ ছাড়া তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে ভর্তিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন আদালত।
স্বরাষ্ট্রসচিব,পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি),কারামহাপরিদর্শক(আইজিপ্রিজন),উপ-কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও কাশিমপুর কারাগার (পার্ট-২)-এর উপ-কারাধ্যক্ষকে (ডেপুটি জেলার) চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অনেকগুলো মামলা রয়েছে। তাঁর আইনজীবীরা জানান, তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
শনিবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে বিএনপি নেতাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বের করা হয়। দুপুরে তাকে ভর্তি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)প্রিজন ওয়ার্ডে।কাশিমপুরের কারা চিকিৎসক মো.শাহাদত হোসেন জানান,মির্জা ফখরুলের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে (মাথায়) ব্লক রয়েছে। এছাড়া তার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস রয়েছে।কারাগারে নেতারা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে বিএনপির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ফখরুলের এক আবেদনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।কাশিমপুরের কারারক্ষক মো.নাসির উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএসএমএমইউতে পাঠানো হয়।
কারাগার থেকে এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সর্বশেষ গত মে মাসে হাসপাতালে পরীক্ষার পর তাকে কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়েছিল।ডা. শাহাদাত বলেন, তাকে ভাস্কুলার সার্জন, নিউরোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট ও কার্ডিওলজিস্ট দেখানো প্রয়োজন। এর আগে চিকিৎসা নিলেও তখন এক সঙ্গে সব চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হয়নি।তিনি (ফখরুল) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন। এখান থেকে বার বার যাওয়া-আসায় তার সমস্যার কথাও জানিয়েছিলেন।পাঁচ মাস আগে গত জানুয়ারিতে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।