Bogra Pic-13 (3)

দৈনিকবার্তা- বগুড়া, ১৩ জুন: বগুড়ায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে মাদক সেবন ও বিক্রি। শহরের কোন কোন মহল¬ায় মাদক বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের অত্যাচারে সাধারণের বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঐসব এলাকা ইতিমধ্যে মাদক পল¬ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এসব স্থানের অলিতে গলিতে বাড়িতে বাড়িতে চলছে মাদক বিক্রি এবং নিরাপদ স্থানও রয়েছে সেবনের। মাদক পল¬ীগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। আর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে খুশি রাখতে মোবাইলফোনে কিংবা মনোনীতদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা পাঠানো হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর, কসাইপাড়া, চাপড়পাড়া, হাড্ডিপট্ট্ িবাসষ্ট্যান্ড, সেউজগাড়ী রেলকলোনী, বাদুড়তলা কুলিপট্টি , জহুরুলপাড়া, নূরানীমোড়, নামাজগড়, চারমাথা, পুরানবগুড়ায় বিশাল এই মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এসব এলাকায় ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন বিক্রি চলছে একরকম প্রকাশ্যে। মাদকসেবীরা এসবের নিরাপদ স্থানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছে। প্রতিদিন শত শত লোক নিরাপদ স্থানে বসে মরণনেশা হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করছে। আর বিক্রেতারা বনে গেছে সম্রাট-সম্রাজ্ঞী। হাড্ডিপট্ট্ িহেরোইন সম্রাজ্ঞী ফাইমা। তার ডেরায় প্রতিদিন ৩/৪ ’শ হেরোইন সেবী হেরোইন কিনছে এবং ডেরারপাশেই নিরাপদস্থান ও শ্রম আদালতের পরিত্যক্ত মাঠে বসে সেবন করছে।

হাড্ডিপট্টি হেরোইন বিক্রি পুরো নিয়ন্ত্রণ করছে এই ফাইমা। তার ১৫/১৬ জন বিক্রেতা প্রতিদিন হাড্ডিপট্টি ও আশপাশ এলাকায় হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্টেডিয়াম ফাঁড়ি , র‌্যাব সবাই অবগত থাকলেও ফাইমা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দীর্ঘদিন ধরে ফাইমা মরণনেশা হেরোইন বিক্রির কারণে এলাকায় টোকাই সাধারণ মানুষ এমনকি অনেক নামি-দামি মানুষও এই নেশায় আসক্ত হয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে গেছে। এদিকে একের পর এক সম্পদ গড়াচ্ছে ফাইমা। অপরদিকে ডালপট্টি , সেউজগাড়ী, পুরানবগুড়া,চারমাথা, নূরানীমোড়,চকসুত্রাপুর, বাদুড়তলা , নামাজগড়ের এই বিশাল মাদকপল¬ীতে কারো কারো উথ্থান ঘটেছে, তারা মাদকের ডিলার সেজে বসেছে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি সিসিটিভি, ভিডিও ক্যামেরা ,ওয়্যারলেস সুরক্ষিত গোপনকক্ষ ব্যবহার করছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পুরাতন ফেন্সিসম্রাজ্ঞী এজেদা পাগলীকেউ টপকিয়ে গেছে। উপরে উলে¬খিত বগুড়ার মাদকপল¬ী বা জোনে বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে রিমা, মমতা, আলম, খালেক, রনি, বেদেনা, নূপুর, মুক্তার, হালি, হেনা, মিল¬াত, হামেদা, মাজেদা, কেয়া, শাহাদত, শামিম, রাহান, সাবানা, গরুয়ালী, কল্পনা, রাজ্জাক, বাবু, রতন, নেহার, শিউলী প্রমুখ। দেশে দীর্ঘ দিন রাজনৈক্তিক অস্থিরতা চলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিক্রি অভিযানে শিথিলতা থাকায় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বগুড়াবাসীর আশা পুলিশের নয়া উর্ধŸতন কর্মকর্তা বগুড়াকে মাদকমুক্ত করতে প্রথমে এই সেক্টরে তার অভিযান পরিচালনা করবেন এবং মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের জিরো টলারেন্স দেখিয়ে বগুড়াবাসীকে মাদকমুক্ত নিরাপদ বগুড়া উপহার দেবেন।