দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ১৩ জুন ২০১৫: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালী গ্রামের নিকট নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে যমুনার পানি প্রবেশ করে গোদাখালী, হাওড়াখালী, কৈখালি, দড়িপাড়া, পাইকরতলী, বুরুইল ও সাতভিটা ৭টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি হতে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালী পর্যন্ত ৮কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছিল। ইতোমধ্যে বাঁধের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তীব্র স্্েরাতের কারণে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটির সংযোগ এলাকা গোদাখালির নিকট পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কিছু স্লোব ধসে গেছে ।
বাঁধের প্রায় ৮০মিটার ভাঙা অংশ দিয়ে যমুনার পানি ব্যাপক হারে প্রবেশ করছে। যে কোন সময় পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটিও ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি ভেঙে গেলে গোদাখালী গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে এখন চরম আতংক বিরাজ করছে। লোকজন ঘরবাড়ি ও মালামাল নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে পড়ছে। ইতো মধ্যে প্রায় অর্ধশত মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সংবাদ পেয়ে গত শুক্রবার স্থানীয় এমপি আব্দুল মান্নান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও সংবাদ লেখা অবদি ভাঙন রোধে সেখানে কোন কাজ শুরু হয়নি।
বর্তমানে সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দূর্গত এলাকার মানুষের জন্য এখনো কোন সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে, বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আবেদন করা হয়েছে বলে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।