atour

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ জুন: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। শনিবার ঢাকায় আকুর ৪৪তম বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার নেন।গভর্নরের প্রটাকল অফিসার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম এ এফ এম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।

শনিবার ঢাকায় আকুর ৪৪তম বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার নেন বলে গভর্নরের প্রটোকল অফিসার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম এ এফ এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।ছয় বছর ধরে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তত্ত্বাবধান করে আসা আতিউরকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই বছরের সেরা গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত করে লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা দি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

এর আগে গত বছরে ফিলিপিন্সের গুসি শান্তি পুরস্কার লাভ করেন আতিউর। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।কিছু দিন আগে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আজীবন সম্মাননাও পান আতিউর রহমান।২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসাবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব নেন আতিউর। এরপর তাকে আরও এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। ২০১৬ সালের ২ অগাস্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

৬৪ বছর বয়সী আতিউর আগামী এক বছর আকুর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। সোনারগাঁও হোটেলে বোর্ড সভায় ইরানের গভর্নর ভালিউল্লাহ সেইফের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।আতিউরের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় ভারত, পাকিস্তান, ইরান, নেপাল, ভুটান ও আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর উপস্থিত ছিলেন।এশিয়ার নয়টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা লেনদেন ব্যবস্থা হচ্ছে আকু।আঞ্চলিক সহযোগিতা সুনিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে এই অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা ইউনাইটেড নেশনস ইকোনোমিক কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়।প্রথমে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান ও শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে আকু গঠিত হয়।

এরপর মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ এতে যুক্ত হয়। বর্তমানে আফগানিস্তান আকুর পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে।এসব দেশের আমদানি-রপ্তানির যে বিল হয়, তা আকুর মাধ্যমে পরিশোধ হয়। প্রতি দুই মাস পরপর এই বিল পরিশোধ হয়ে থাকে। ডলার ও ইউরোর মাধ্যমে আকুতে লেনদেন হয়।গভর্নর জানান, ২০১৪ সালে আকুর সদস্য দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমদানি কমেছে।অন্যদিকে এই সময়ে আকুর দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ; যদিও অন্যান্য দেশে রপ্তানি বেড়েছে।