কুড়িগ্রামে বন্যা  ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

দৈনিকবার্তা-কুড়িগ্রাম,১২জুন : পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে বন্যা পরি¯ি’তি বিরাজ করছে।জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠেছে।ধরলা ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার নিকট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি ঢুকে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে ছে। ১০টি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। জেলার ৭ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে এসব বন্যা কবলিত মানুষ এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রক্ষপুত্র ৩১ সে.মি ধরলায় ৩০ সে.মি, দুধকুমার নদে ৩১সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

এসময় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চিলমারীতে ১৫০ মি.মি ও ধরলা ফেরিঘাট পয়েন্টে ৮৪ দশমিক ৫ মি. মিটার ও তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ১২৭ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম শহরে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন, খাদ্য অফিস, আদর্শ জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা, খাদ্য গুদাম, হাটিরপাড়, ভেলাকোপা, মজিদা কলেজসহ বিভিন্ন ¯’ানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।চর ও দ্বীপ চরগুলোর নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচগাছি, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, ভোগডাঙা, হলোখানা, মোঘলবাসা, উলিপুরের বুড়াবুড়ি, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, চিলমারীর রাণীগঞ্জ, অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, জোরগাছ ও চিলমারী সদর ইউনিয়নসহ রৌমারী ও রাজীবপুরের কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন চাঁদ জানান, এই ইউনিয়নের ৪টি চরের বেশিরভাগ বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

সদর ইউনিয়নের হলোখানার সারোডোব, বাংটুরঘাট, পাঁচগাছির ছড়ারপাড়, যাত্রাপুরের গারুহারা, নাগেশ্বরীর নুনখাওয়ার মাঝেরচর, চিলমারীর জোড়গাছে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে এসব এলাকার ৫ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ফসলী জমি ও রাস্তা বিলীন হয়েছে। দুধকুমার ও গংঙ্গাধর নদ-নদীর পানি উত্তর দিক থেকে বয়ে এসে যাত্রাপুর হাটের পূর্বে ব্রক্ষপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। মিলিত ¯্রােতে চরযাত্রাপুর থেকে গারুহারা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ি সড়কটি হুমকির মুখে পড়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাফুজার রহমান বলেন, নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।