দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জুন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না যে কোনো মূল্যে তা নির্মূল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের নবনির্মিত বাণিজ্যিক ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ দেশ বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামাতের নাশকতার সময়ও পুলিশকেই টার্গেট করা হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের যে কোনো সঙ্কটের সময়ে পুলিশের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার সব ব্যবস্থা করবে।এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি ছিল।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই তা দমন করেছে।সারা দেশে যত তাণ্ডব হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপশি পুলিশ সদস্যরা তা দমনে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এজন্য পুলিশ সদস্যদেরকেও ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমরা কাজ করি। চেষ্টা করি দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ও আস্থা ফিরিয়ে আনার। দেশের পুলিশেরও একই দায়িত্ব পালন করা দরকারপুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, অনেক কিছু আপনারা চাননি। আমরা নিজেরাই আপনাদের সুব্যবস্থা করে দিয়েছি।বাংলাদেশ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি ছিলো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই তা দমন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাসমুক্ত।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সদস্যদের সমস্যা সমাধানের জন্য কল্যাণ ফান্ড। এই ফান্ডের টাকা দিয়ে তারা নিজেদেও প্রয়োজন মেটাতে পারেছন- এটাই বড় কথা।পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই প্লাজাটি চমৎকার একটি স্থানে। পাশেই হাতিরঝিল। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা এটি করেছেন সেটা আশাকরি সফল হবে।
তিনি বলেন, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ব্যারাক নেই। সেখানে নানা ধরনের সমস্যা ছিলো। আমরা সরকার গঠনের পর থেকে পুলিশ বাহিনীর সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।সমগ্র বাংলাদেশে পুলিশদের নিয়ে প্রজেক্ট করে এদের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে সরকার। শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের ডিউটির রাত-দিন নেই। এরা এতো ডিউটি করে করে। এদের সঙ্গে কার্পণ্য করে কোনো লাভ নেই। সারা দেশে যতো তাণ্ডব হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা সময়মতো তথ্য নিয়ে সমস্যা সমাধান করেছে। পুলিশ বাহিনীও বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। জনগণের জন্য প্রাণ দিয়েছে।তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি ছিলো বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তা দমন করেছে। গোয়েন্দা সংস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে আমরা সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে পেরেছি। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমরা কাজ করি। চেষ্টা করিদেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ও আস্থা ফিরিয়ে আনার। দেশের পুলিশেরও একই দায়িত্ব পালন করা দরকার।পুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, অনেক কিছু আপনারা চাননি। আমরা নিজেরাই আপনাদের সুব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই আমাদের প্রাপ্তি। আমরা মানুষের কাছে হাত পেতে নয়, কাজ করেই সেটা প্রমাণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনী দিন-রাত জনগণের সেবায় নিয়োজিত। এ জন্য তাঁর সরকার এ বাহিনীর কল্যাণে যতœশীল।তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, পুলিশ বাহিনী জনগণের আস্থা সমুন্নত রাখবে।শেখ হাসিনা আরো আশা প্রকাশ করেন যে, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে এই প্লাজা সহায়তা করবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে। শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠান পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ট্রাস্ট পুলিশ সদস্যদের মাঝে একতা, বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করার পাশাপাশি পেশাগত উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে।এতে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম সহিদুল হক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীবর্গ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।