lalmonirhat_48352_276609
দৈনিকবার্তা-লালমনিরহাট, ১১ জুন:
 
৩ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের তিনটি উপজেলায়। এতে করে চরম বিপাকে পরেছে হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও কালীগঞ্জ উপজেলার কয়েক লাখ বাসিন্দা। এসব বাসিন্দারা বিদ্যুৎহীনভাবে প্রায় ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত করলেও কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সরবারহ শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট বিদ্যু বিভাগ।তবে বৃহস্পতিবার বিকালে লালমনিরহাট বিদ্যুৎ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী আবু হাসানাত বলেন, ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনে সমস্যা দেখা দেয়ায় এমনটি হয়েছে। তবে দীর্ঘ ওই লাইনের প্রায় ৫ শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের মধ্যে কোন এক জায়গায় ত্রুটি থাকায় তা খুঁজে বের করতে সময় লাগছে। সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগ বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং তিনি সার্বক্ষনিক দেখভাল করেছেন বলে জানান এ নিবার্হী প্রকৌশলী।

জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে জেলার কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার আদিতমারী উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের শুরু করা হলেও কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে ওই তিন উপজেলার কয়েক লাখ বাসিন্দা।এ ব্যাপারে হাতীবান্ধার কলেজ শিক্ষক নাজমুল কায়েস হিরু আক্ষেপের সুরে বলেন, সামন্য ঝড় বৃষ্টি হলে আমাদেরকে ৩/৪ দিন বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হয়। গত মে মাসের শেষের দিকেও টানা তিন দিন বিদ্যুৎ ছিল না গোটা জেলায়। আর এমন ভোগান্তির কথা জেনেও এর স্থায়ী সমাধানে বিদ্যুৎ বিভাগের তেমন কোন তৎপরতা নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে এমন অভিযোগ শুধু ওই কলেজ শিক্ষকেরই নয়, এলাকার প্রায় সব মানুষের।এদিকে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্ন হলেও বিষয়টি সমধানে তৎপর থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

তারা বলছেন, লালমনিরহাট সদর থেকে পাটগ্রাম উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনটি ৩৫ বছরের পুরনো হওয়ায় প্রায় সময় সমস্যা দেখা দেয়। এতে র্দীঘ ওই লাইনে কোথাও ত্রুটি হলে তা খুঁজে বের করতে সময় লাগে। তবে এমন সমস্যা বেশি দিন থাকবে না বলেও দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের। তাদের ভাষ্য মতে, লালমনিরহাট থেকে হাতীবান্ধা পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন একটি ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটির কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।