দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জুন: বিএনপি বাংলাদেশের ১০০ ভাগ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি ১০০ শতাংশ ভোট পায় না, এমনকি ৮০ শতাংশও ভোট পায়না। তবে এটা সত্য যে বিএনপি সরকার গঠন করে। আবার এমনিভাবে আওয়ামী লীগও সরকার গঠন করে।রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি জনগণ ও সুন্দরবনের সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে তাদের এই একগুয়েমি চিন্তা থেকে সরে আসবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বলছে না কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবশ্যই করতে হবে, তবে সেটা রামপালে নয়। অন্যকোথাও বা কক্সবাজারে যদি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয় সেখানে সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএনপি। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলে বন হেরিটেজ থেকে সুন্দরবনের নাম বাদ যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।ক্ষমতাসীনদের মধ্যেই অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা যারা দেশকে ভালোবাসেন তারাও চান না এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক বলে জানান তিনি।
সুন্দরবনের রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করার আহবান জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। সেখানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলে সুন্দরবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। সেটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়, উপরন্তু সেটা সবার জন্য লজ্জাজনক হবে।এসময় জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নিজের এলাকায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরমর্শ দেন ড. রিপন।বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার একগুঁয়ে ভাব ধরে সুন্দরবনের কাছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক পরিবেশবিদরা সুন্দরবনের কাছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন।
এমনকি বিএনপির সঙ্গে দেশের বাম দলসহ সুশীল সমাজের লোকেরাও সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করার আহবান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকার কারও কথা শুনছে না।সরকার জনগণের পকেট কাটার জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দেশ ও জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকার তাদের একগুঁয়ে অবস্থান থেকে সরে আসবে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।