দৈনিকবার্তা-ভোলা, ১১ জুন: ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় শিশুসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে। এছাড়া ভর্তি আছে ১১ জন। এখনো ১০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।বৃহ¯পতিবার সকাল ১০টায় নহিম মাঝির ট্রলারটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে মনপুরার কলাতলী থেকে ছেড়ে মনপুরার রামনেওয়াজের কাটাখাল ও ঢালচরের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে প্রচন্ড স্রোতের কবলে পড়ে ট্রলারটির তলা ফেটে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ট্রলারে থাকা বেশীর ভাগ যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নারী ও শিশুরা মেঘনায় ডুবে যায়। ঘটনাস্থল থেকে শিশুসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন, আয়েশা বেগম (৭০), জেসমিন (২২), রুপা (৩), রনি (২), তানজু (৩) ও তাহমিনা (৩)। পরে ডুবে যাওয়াদের মধ্য থেকে অনেক’কে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত ১১ জন বর্তমানে মনপুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে জান্নাত, স্বপ্না, কামাল, মিশু, হাকিম ও ইউনুস মুন্সীর নাম পাওয়া গেছে।মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা. অমিতাভ দে ও ডা. শমিরন কুমার বসাক বলেন, ৬টি লাশ মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া আহতদেরকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা আশংকামুক্ত বলে জানান।মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পরিচয় দিলে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে দেওয়া হবে।ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট খালিদ জানান, ট্রলার ও নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড কাজ করছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানের গুরুত্বের সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা উদ্ধার না হওয়ায় পর্যন্ত এ উদ্ধার কাজ চলবে।এদিকে, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। মেঘনার পাড়ে নিখোঁজদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা।