দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ জুন: নীল নবঘনে আষাঢ় গগনেতিল ঠাঁই আর নাহিওে ওরে, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে। আর যাই হোক, কবিগুরুর এই আহ্বানে সাড়া দেয়া সম্ভব নয় বেশিরভাগ ঢাকাবাসীর।তাই তো তীব্র দাবদাহে অতিষ্ট জনজীবনে বর্ষার এই বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে আনলেও তীব্র যানজটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে নগরবাসীর সকালটা। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই অফিসে পৌঁছাতে হয়েছে আগেভাগে প্রস্তুতি না থাকা মানুষদের।বৃহস্পতিবার তখন সকাল নয়টা। আসাদগেট থেকে ফার্মগেট পুরো রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। মাঝখানে সংসদ ভবনের সামনের পথ দিয়ে শুরু হয়েছে অফিসগামী মানুষের মিছিল। অতি সতর্ক কারো কারো কাছে ছাতা ও রেইনকোট থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ছুটে চলেছে।টানা কয়েকদিন তাপদাহের পর প্রবল বৃষ্টি থমকে দিয়েছে রাজধানীর জীবন। সারারাত হালকা বৃষ্টি হলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শুরু হয় মাঝারি ও ভারি বর্ষণ। এতে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজমুখী শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশেই মাঝারি ও ভারি বর্ষণ হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিতে অনেক সড়কে পানি জমে গেছে।রাজধানীর আসাদগেট, ফার্মগেট, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, রমনা, কাকরাইলসহ বেশ কিছু এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।এছাড়া গুলশান, নিকেতন ও হাতিরঝিল-সংলগ্ন এলাকায়ও যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। হাতিরঝিল-সংলগ্ন পুলিশ প্লাজা কনকর্ড ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং বৃষ্টির কারণে ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় বলে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে।ঘড়িতে সময় তখন বেলা ১১টা। বৃষ্টির প্রকোপ তখন কিছুটা কমেছে। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত শত শত মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু গণপরিবহনের দেখা নেই। সিএনজি অটোরিকশা সোনার হরিণ। রিকশা পাওয়া গেলেও ভাড়া আকাশচুম্বী। গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমের পর আজকের বৃষ্টি নগরবাসীর জন্য এনে দিয়েছে স্বস্তি। কিন্তু কার্যদিবস হওয়ায় অফিসগামী মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতেই হয়েছে। ফলে রাস্তায় নেমেই বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের।মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রাস্তার দুই ধারে আর গলিতে জমে থাকা পানি নগরবাসীর দুর্ভোগের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। কেবল বেগম রোকেয়া সরণির কাজীপাড়া বা শেওড়াপাড়া নয়, সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানীর অনেক এলাকার রাস্তাঘাট। বিভিন্ন গলিপথে জমে গেছে পানি। রাস্তায় পানির কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।
তবে এ ক্ষেত্রে একটু স্বস্তির পরশ দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তারা জানাচ্ছে, আপাতত দু-তিনদিন রাজধানীতে এই রকম তুমুল বৃষ্টি হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই। তবে আজ ঢাকায় দিনের যে কোনো সময় আবারও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা সকালের মতো প্রবল আকারে ঝরবে না।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সানাউল হক বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ঢাকায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সারা দেশে যে মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করেছে, তার সঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপ মিশে এই বৃষ্টি হয়েছে। এতে কালবৈশাখীরও কিছুটা প্রভাব ছিল। এই পরিমাণ বৃষ্টিকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বলা যায়।
এদিকে, কোন কোন এলাকায় পানি জমে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা জানতে চাইলে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, রাজধানীর কোনো সড়কে পানি জমে নেই। তবে শান্তিনগর এলাকায় কিছু পানি জমেছিল, সেসব স্থান দুপুরে পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পুরান ঢাকার বংশাল, সাতরওজা, নাজিমউদ্দিন রোড, বসুন্ধরা সিটির শপিং কমপ্লেক্সের পেছনের অংশ, ইন্দিরা রোড, পশ্চিম রাজাবাজার, মিরপুর, শান্তিনগর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ১৩, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁওসহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে ছিল। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন অলিগলিও ছিল পানির নিচে। তা ছাড়া নাখালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় কাদা জমে যাওয়াসহ পরিবহনের তীব্র সংকট ছিল। কয়েকদিনের তাপদাহের পর মুষলধারে বৃষ্টি রাজধানীতে যে স্বস্তি নিয়ে এল, অল্প সময়েই তা ধুয়ে গেল রাস্তার জলাবদ্ধতা আর যানজটের ভোগান্তিতে।বুধবার কয়েক দফায় হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শুরু হয় ভারি বর্ষণ। এরইমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চারদিক অন্ধকার করে রাজধানীতে প্রবল বাতাস নিয়ে শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি।এতে অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজমুখী শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজট। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকার সদরঘাট থেকে ৩৭টি রুটে ও নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সাতটি রুটে লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সকালে গুলশানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুটিং ক্লাবের উল্টো দিকের পার্কের ভেতরে ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও মধ্যরাতের পর থেকে কয়েক দফার বৃষ্টিতে সেখানে পানি জমে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভেন্যু বদলে পুলিশ প্লাজার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে সকাল ৬ থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। সেখানে ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে যানবাহন না পেয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা। মাঝে মাঝে দুই-একটি রিকশার দেখা মিললেও চালকরা ভাড়া হাঁকান দেড়-দুই গুণ। বাসগুলোতেও তখন ওঠার উপায় নেই।আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ মোড়ে সে সময় সিটি কলেজের দুই ছাত্রীকে বৃষ্টিতে ভিজেই যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা খানম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি রিকশা-বাস কিছুই পাননি। প্রবল বৃষ্টিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, উর্দু রোড, গুলিস্থান নাট্যমঞ্চের সামনের রাস্তা, শান্তিনগর, মালিবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে যায় বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানান।নাজিমুদ্দিন রোড পানি জমে যাওয়ায় চকবাজার থেকে গুলিস্তানের পথে টেম্পো চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।বিজন নামে এক চালক জানান, ইঞ্জিন ডুবে গেলে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তারা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।একই পরিস্থিতি দেখা যায় রাজধানীর নিউ মার্কেট, জিগাতলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায়। রাস্তায় পানি জমে থাকায় নিউ মার্কেট থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত সড়কে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। বৃষ্টির কারণে সকালে নিউ মার্কেটের সামনের রাস্তায় পানি জমে যায়। পাম্প চালিয়ে মার্কেটের ভেতরের খালি জায়গা থেকেও পানি সরাতে দেখা যায়। বিমানবন্দরের সামনে এবং উল্টো দিকের বাসস্ট্যান্ডের সামনে পানি জমে যাওয়ায় সড়কের দুই দিকেই তীব্র যানজট দেখা দেয়। উত্তরা এক নম্বর সেক্টরের কাছে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নেয়।
দুপুর ১২টায় মিরপুর-১ থেকে বাসে উঠেছি। দেড়টার সময় ফার্মগেইট পর্যন্ত আসতে পেরেছি। জানি না গুলিস্থান পৌঁছাতে কতদিন লাগবে।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মঞ্জুর রহমান জানান, মূল সড়ক ছাড়াও অলিগলিতে পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন আটকে আছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। টানা তাপদাহের পর বুধবার থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি তাপদাহের তীব্রতা কমালেও, এর থেকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা রাজধানীবাসীকে করেছে নাকাল। আর প্রবল বর্ষণের ফলে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন সড়কে জমে থাকা পানিতে সৃষ্ট যানজট বাড়িয়েছে ভোগান্তি।সংসদ ভবন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার আশেপাশের সব রাস্তায় যানজট লেগে যায়। এছাড়া ফার্মগেট সংলগ্ন খামারবাড়ি এলাকায় রাস্তায় পানি জমে রয়েছে। যে কারণে পথচারীদের হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে।গুলশান-২র কালাচাঁদপুর ৭৪/ক সড়ক থেকে বারিধারা-নর্দ্দা এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় হাঁটুর ওপর পানি জমেছে বলে জানা গেছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ওই এলাকার কেউ রাস্তায় বের হননি।রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের আশপাশের এলাকা পল্টন, আরামবাগ হাঁটু পানিতে ডুবে রয়েছে।মতিঝিল ফার্মগেট এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে ওই এলাকার রাস্তায় পানি নেই, কিন্তু তীব্র যানজট লেগে রয়েছে।তবে আগারগাঁও এলাকার রাস্তায় পানি না থাকলেও যানবাহন কম থাকায় সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ।এদিকে হাতিরঝিল এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে । হাতিরঝিলের পাশের সড়ক রামপুরার রাস্তায় তীব্র যানজট। এতে সাধারণ মানুষকে তীব্র ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।এমন প্রবল বৃষ্টিকে অস্বাভাবিক মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী ১৭ জুন বুধবার পর্যন্ত কখনো থেকে থেমে, কখনো একটানা এমন প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ ও ১৯ জুন আবহাওয়া কিছুটা শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা থাকলেও এর পর ফের চেপে বসবে বৃষ্টি।দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ও সিলেট অঞ্চলে পশ্চিম ও উত্তর-টশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে ভারি বৃষ্টি।এই অবস্থায় নদী উত্তাল থাকতে পারে বলে দেশের সব নৌবন্দরকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন পূর্বাভাস কর্মকর্তা বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় মৌসুমি বায়ু সারা দেশে বিস্তৃত হবে। ফলে এ সময়টায় আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না।বৃষ্টির কারণে দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা কমে স্বস্তি ফিরেছে। বুধবার ঢাকার তাপমাত্রা যেখানে সর্বোচ্চ ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, সেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে উষ্ণতা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সকালে প্রবল বৃষ্টি শুরুর পরপরই ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সাতটি রুটে লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক শফিকুল হক বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমরা নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছি।বিআইডব্লিউটিএর সময় নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেন বলেন, আবহাওয়ার কারণে নৌবন্দরগুলোতে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ ফুটের কম দৈঘে্যৃর লঞ্চ চলাচল নিষেধ।তিনি জানান, সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের রুটের বড় লঞ্চগুলো সকালে ছেড়ে যায়। এ রুটের অধিকাংশ লঞ্চের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুটের বেশি।নারায়ণগঞ্জ-মতলব, দৌলতদিয়া-কাওড়াকান্দিসহ কয়েকটি পথে চলাচলকারী লঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪০-৪৫ ফুট। এগুলো ছাড়া হবে না।চাঁদপুর নৌ বন্দরের কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ নৌ-রূটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।