dr zafrullah

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ জুন: ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবমাননাকর বিবৃতি দেওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে সাজা দিয়েছে আদালত।শাস্তি হিসাবে তাকে এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে একমাস জেল খাটতে হবে।একই ঘটনায় আরও ২২ বিবৃতিদাতাকে অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এই রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো.মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলাম।ব্লগে দায়িত্বজ্ঞানহীন লেখার মাধ্যমে বিচারাধীন বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গতবছর ২ ডিসেম্বর সাজা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৫০ জন নাগরিকের একটি বিবৃতি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।ওই বিবৃতি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি কটাক্ষ মনে হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল বিবৃতিদাতাদের আচরণের ব্যাখ্যা চায়।৫০ বিবৃতিদাতার মধ্যে ২৬ জন নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। আর একজন আগেই বিবৃতি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন।

বাকি ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১ এপ্রিল অবমাননার রুল জারি করে ট্রাইব্যুনাল-২। ১৪ মে ওই ২৩ জনের দেওয়া জবাবের ওপর শুনানি করে আদালত রায়ের দিন ঠিক করে দেন।এর মধ্যে ২২ জনকে বুধবার রায়ে আদালত অবমাননার সাজা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু এর আগেও একটি ঘটনায় অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে সতর্ক করে দিয়েছিল বলে এবার তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাটি ছিল ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রচারিত মুক্তবাক অনুষ্ঠানে দুই আলোচকের বক্তব্য নিয়ে।আদালত অবমাননার দায়ে এক ঘণ্টার সাজা শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে সাজা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি মানসিক অসুস্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাজা ভোগ করেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় আদালত অবমাননার দায়ে তাঁকে এ সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সমালোচনা থেকে বিরত রাখার অর্থ হচ্ছে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা।আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি।কোনো বিষয়ে মন্তব্য বা সমালোচনা করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমার মন্তব্য বা সমালোচনা বিচারপতিরা সহ্য করতে পারেননি। রায়ের বেশির ভাগ অংশই ছিল রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, যোগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ।বুধবার সকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ ডা. জাফরুল্লাহকে সাজা দেন।ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর এক ঘণ্টা ২০ মিনিট বিলম্ব করে কাঠগড়ায় যাওয়ার ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, রায়ের পর আমি আদালতকে বলেছিলাম, আমি আপিল করব। সে জন্য আমি রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম। আদালত স্থগিত করেননি।ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল বিভাগে আপিল করব। আপিল আমার পক্ষে এলে আদালত কি আমার জীবনের এক ঘণ্টা সময় ফিরিয়ে দিতে পারবেন? নাকি তারা কাঠগড়ায় উঠে এক ঘণ্টা সাজা ভোগ করবেন? আমি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেব না। আমি আশা করি, আপিল বিভাগের রায় ন্যায়বিচারের পক্ষে যাবে।এদিন বিবৃতিদাতা অপর ২২ বিশিষ্ট নাগরিককে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল-২।গত ২৩ ফেব্র“য়ারি আরো ১৫ জনকে একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় থেকে আদালত অবমাননার দায়ে একটি দণ্ড ভোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ২২ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিবৃতি আদালতের জন্য অবমাননাকর হলেও প্রথমবার বিবেচনায় তাঁদের ক্ষমা করা হলো। তবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আগেও আদালত অবমাননার অভিযোগে কার্যক্রম চলেছে। তাই তাঁকে দণ্ড দেওয়া হলো।বাংলাদেশে বসবাসরত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় ২৩ বিবৃতিদাতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগের বিষয়ে গত ১৪ মে শুনানি শেষে আজ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।ট্রাইব্যুনালের আদেশের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ৪৯ মিনিটে স্বেচ্ছায় কাঠগড়ায় ওঠেন জাফরুল্লাহ। ১টা ৫০ মিনিটে কাঠগড়া থেকে নেমে আসেন তিনি।এজলাসে উপস্থিত ট্রাইব্যুনালের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আদেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল উঠে যাওয়ার পর আসামির কাঠগড়ায় যেতে রাজি হননি জাফরুল্লাহ। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জাফরুল্লাহকে আসামির কাঠগড়ায় উঠতে বললেও তিনি তা করেননি। পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার গিয়ে তাঁকে আদালতের আদেশের কথা বলেন। আদেশ পড়ে তারপর তা পালন করবেন বলে জানান তিনি।বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে জাফরুল্লাহকে আদেশের লিখিত অনুলিপি পড়তে দেওয়া হয়। ১২টা ৪৯ মিনিটে তিনি স্বেচ্ছায় কাঠগড়ায় ওঠেন। সেখানে এক ঘণ্টা থাকেন।

কাঠগড়া থেকে নামার পর জাফরুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তবে এর মধ্যেই উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি।জাফরুল্লাহর দাবি, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। সমালোচনা করা তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। দেশের যেকোনো বিষয়ে সমালোচনা করার অধিকার তাঁর রয়েছে।বিলম্ব করে আসামির কাঠগড়ায় যাওয়ার বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, পুরো আদেশ পড়ে তারপর তা পালন করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। অনুলিপি দিতে আদালতের দেরি হয়েছে।আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত নিউ এজ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদনের সম্পাদক বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে দেশের ৫০ নাগরিক গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিবৃতি দেন। মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির পরে বিবৃতি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। ১৪ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল ৪৯ বিবৃতিদাতার কাছে তাঁদের বিবৃতির বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। পরে বিবৃতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় ২৬ বিবৃতিদাতাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল আদালত অবমাননার রুল দেন।

আলোচক জাফর উল্লাহ চৌধুরী এবং সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের ে েেক্রটারি জেনারেল মাহফুজ উল্লাহ সেখানে দাবি করেন,ট্রাইব্যুনালের মামলায় যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অধিকার খর্ব করা হয়েছে এবং এতে ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হবে।এরপর চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী পরিচালক, হেড অব প্রোগ্রাম, মুক্তবাক অনুষ্ঠানের ওই পর্বের প্রযোজক, অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং দুই আলোচকের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ আনা হয় ট্রাইব্যুনালে।এ বিষয়ে শুনানি শেষে গতবছর ১২ জুন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাদের সতর্ক করে দিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। সেই রায়ে বলা হয়, যারা টকশোতে কথা বলেন,তারা অবশ্যই দায়িত্বশীল। দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করার সময় দায়িত্ব নিয়ে মন্তব্য করবেন।এরপরও ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবমাননাকর বিবৃতি দেওয়ায় এবার জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার সাজা এবং জরিমানা করে আদালত।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে অব্যাহতি পাওয়া ২২ জন হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নারী অধিকারকর্মী শিরিন হক, নৃ-বিজ্ঞান গবেষক রেহনুমা আহমেদ, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সি আর আবরার, সাংস্কৃতিক কর্মী লুবনা মারিয়াম, অধিকারকর্মী মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী ও নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, সাংবাদিক ও লেখক আফসান চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক বীণা ডি কস্টা, লেখক শবনম নাদিয়া, লেখক মাহমুদ রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ এ্যানি, আলাল ও দুলাল ব্লগের সম্পাদক তীব্র আলী, নৃবিজ্ঞানী দেলোয়ার হোসেন, মাসুদ খান, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, জরিনা নাহার কবির, আলী আহম্মেদ জিয়াউদ্দিন, সঙ্গীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিল, অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ ও সাংস্কৃতিক কর্মী লিসা গাজী।প্রথমবার এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় আদালত তাদের সবাইকে ভবিষ্যতে বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক করে অব্যাহতি দিয়েছে বলে অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ জানান।ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের ফলে বিবৃতিদাতাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই ট্রাইব্যুনালের ক্ষমা পেলেন।

৫০ নাগরিকের মধ্যে মানবাধিকার কর্মী ও নারীনেত্রী খুশি কবির ওই বিবৃতি প্রকাশের পরপরই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ১৪ জনের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ফেব্র“য়ারি তাদের অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতিদেয় আদালত।ওইদিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ ও আমেনা মহসিন, বাংলাদেশ শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ডা. নায়লা জামান খান, ড. শাহনাজ হুদা, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন, সংগীত শিল্পী অরূপ রাহী, লেখক শাহীন আক্তার ও অধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান আদালতের ক্ষমা পান।এরপর ৩ মার্চ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে রেহাই পান বিবৃতিদাতা আরও ১০ জন।এরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেইট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের শিক্ষক ড. আলী রিয়াজ, ড. পারভিন হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ফিরদৌস আজিম, প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ, মানবাধিকার আইনজীবী ড. ফস্টিনা পেরেইরা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান লিটন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিয়া হক, ড. সেঁউতি সবুর, তাসমিন সারা সাহাবুদ্দীন ও লেখক তাহমিমা আনাম।বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দিনা এম সিদ্দিকী ও অধিকারকর্মী রেজাউর রহমানও পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান ।