দৈনিকবার্তা-রাঙ্গামাটি, ০৯ জুন: পর্যটকদের নিরাপত্তায় ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সহসাই রাঙ্গামাটিতে কাজ শুরু করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরূপ লীলাভূমি পার্বত্যাঞ্চলে ছুটে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করবে। এতে যেমন পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে তেমনি পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক ছাপ পড়বে।ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. সোহরাব হোসেন সোমবার রাঙ্গামাটিতে এ লক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকা নানা বিবেচনায় একটি বিশেষ অঞ্চল, একই সাথে এটি পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকাও বটে। বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। পর্যটক পুলিশ কাজ করার সময় এখানকার ঐতিহ্য সংস্কৃতি অক্ষুণœ রাখাসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়েই কাজ করবে।
মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অমিত চাকমা রাজু, রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টের মালিক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বাস মালিক ও নৌ যান মালিকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় জানানো হয়, সবুজ-শ্যামল বাংলার নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকন করতে প্রতিবছর বাংলাদেশে ছুটে আসে বিশ্বের নানা দেশের প্রকৃতিপ্রেমিরা। শুধু বিদেশী পর্যটকই নয় দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকরাও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাশ যাপনসহ ছুটি কাটাতে বেরিয়ে পড়েন সুযোগ পেলেই। দেশি বিদেশী এসব পর্যটক অনেক সময় নানা বিড়ম্বনায় পড়েন।এ ধরণের বিড়ম্বনা থেকে পর্যটকদের রেহাই দেয়াসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে গতি আনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ নামে পুলিশের বিশেষ একটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশেরই একটি অংশ ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিটে কাজ করবে।
জানা গেছে, এদের সকল তৎপরতা থাকবে পর্যটকদের ঘিরে। শুধু নিরাপত্তাই নয় পর্যটকদের রাত যাপন তথা আবাসন সমস্যাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও এই পুলিশ কাজ করবে। ট্যুরিস্ট পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন একজন ডিআইজি। প্রাথমিকভাবে ৭শ’ পুলিশ সদস্য নিয়ে গঠিত এই পুলিশ বর্তমানে তিনটি রিজিয়নে কাজ করছে। চট্টগ্রাম রিজিয়নের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জোনে রাঙ্গামাটি ইউনিট কাজ করবে।সূত্র জানায়, এই রিজিয়নের দপ্তর থাকবে চট্টগ্রামে, কক্সবাজারসহ পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলোও এই রিজিয়নের অধীনে কাজ করবে। এর দায়িত্বে রয়েছেন একজন এসপি সমপর্যায়ের কর্মকর্তা। সোমবার দুপুরে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোসলেমউদ্দিন খান ও রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তরিকুল হাসান বক্তব্য রাখেন।