Amu

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ জুন: বিদেশে গিয়ে চিকিত্‍সা সেবা গ্রহণের প্রবনতা হ্রাস করতে দেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবার মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু৷তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান দ্রুত উন্নত হচ্ছে৷ উন্নত চিকিত্‍সা ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে৷ বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা কম নয়৷ কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যে মানের সেবা দেয়া হচ্ছে, তার ওপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেবা গ্রহীতারা আস্থা রাখতে পারছেন না৷ ফলে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশে চিকিত্‍সার জন্য যাচ্ছে৷ এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য মোটেই সম্মানের বিষয় নয়৷

মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে৷ বিদেশী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবস্থাপনা, রোগীর তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা, টেস্টিং রিপোর্টের গুণগতমান, মেডিক্যাল ডিভাইসের স্ট্যান্ডার্ডস, টেস্টিং ল্যাবরেটরির অবকাঠামো ও জনবলের মান বজায় রাখতে যেসব আনত্মর্জাতিক মান বা আইএসও সার্টিফিকেশন অনুসরণ করে,দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই মান অনুসরণ করা উচিত৷ এর মাধ্যমে তাদের সেবার মান বাড়ানো অতি জরুরী৷মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার সভাকক্ষে ‘এ্যাক্রেডিটেশনঃ স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবায় সহায়তা করে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে৷

বিএবি সভাপতি অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ ও বিএবি মহাপরিচালক মো. আবু আব্দুলস্নাহ বক্তব্য রাখেন৷ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্ষ ড. প্রাণ গোপাল দত্ত৷শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ও সামাজিকখাতে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে জনগণের সামর্থের মধ্যে মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারে, সে লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠান ও তাদের জনবলের গুণগতমান নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে এ্যক্রেডিটেশন ধারণার প্রসার জরুরি৷এটি করা গেলে, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গুণগতমানের প্রতিযোগিতা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দেশের প্রথম সার্টিফিকেশন বডি (সনদ প্রদানকারী সংস্থা) হিসেবে বিএসটিআইকে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) এ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট (আনত্মর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা সনদ) প্রদান করেন৷ মান, পরিবেশ এবং খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সংশি৷লষ্ট আনত্মর্জাতিক মানসনদ (আইএসও) যথাযথভাবে অনুসরণ করায় বিএসটিআই এর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন উইং এ সনদ লাভ করলো৷

এছাড়া মন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৭টি ল্যাবরেটরিকে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেন৷ এগুলো হচ্ছে- ডিভাইন ফেব্রিকস্ লিমিটেডের সেন্ট্রাল টেঙ্টাইল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, আণবিক শক্তি কমিশনের অ্যানালাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি, পেট্রোমেঙ্ রিফাইনিং লিমিটেডের পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট টেস্টিং ল্যাবরেটরি, সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেঙ্রে সেন্ট্রাল কেমিক্যাল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, টুভ সুদ বাংলাদেশ (প্রা:) লিমিটেডের টেঙ্টাইল টেস্টিং ল্যাবরেটরি, বিসিআইসি-এর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি এবং ডার্ড গ্রুপের বাংলাদেশ মেটারিয়াল টেস্টিং ল্যাবরেটরি৷