Rashahhi-map-sm20131215191412

দৈনিকবার্তা-গোদাগাড়ী, ০৯ জুন: পরোকীয়া প্রেমের টানে নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্নে স্বামীর ঘর ছেড়েও সমাজপতিদের কারসাজিতে স্বপ্নের ঘর বাঁধা হলো না গোদাগাড়ী উপজেলার ধাতমা গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে দুই সন্তানের জননী কোহিনুনের৷ বিচারের আশায় প্রতিনিয়ত ঘুরছে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে৷

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বিজয়নগরের (রাজাবাড়ীহাট) তৈয়ব আলীর ছেলে আমানের (৩৫) সহিত একই উপজেলার ধাতমা গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে কোহিনুনের (৩০) বার বছর পূর্বে বিয়ে হয় এবং তাদের সংসার আলোকিত করে জন্ম নেয় দুই ছেলে সন্তান৷ সুখের সংসারে পরোকীয়ার ফাঁদে ফেলে বাঁধ সাধে বিজয়নগর কলোনীর মানিকের ছেলে দুই সনত্মানের পিতা আরিফ হোসেন (৩৫)৷ আরিফ বন্ধুত্বের সুযোগে আমানের বাড়ীতে দীর্ঘ দিন যাবত্‍ আসা-যাওয়ার ফাঁকে বন্ধুর স্ত্রী কে পরোকীয়ার ফাঁদে ফেলে এবং নতুনঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখায়৷ অবশেষে স্বপ্নে বিভোর হয়ে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গত ৩০ই মে পরোকীয়া প্রেমিক আরিফের হাত ধরে ঘর ছাড়ে কোহিনুর৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২রা জুন মেয়ের স্বামীও স্বজনরা রাজশাহী মহানগরীর কাঁঠালবাড়ীয়া এলাকা হতে ধরে নিয়ে আসে৷ পরের দিন বুধবার রাজাবাড়ীহাট ঈদগাহ মাঠে মাহাবুব রহমান মেম্বর এর সভাপত্তিত্বে শালিশী বৈঠক বসে৷ শালিসী বৈঠকে ভুক্তভোগী তাদের পরোকীয়ার অবাদ মেলামেশার বর্ণনা দিলেও গ্রাম্য মাতব্বরদের কু-চক্রানত্মে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করে কোহিনুর৷ সে আরোও অভিযোগ করে বলে, গ্রাম্য মাতব্বর সাখাওয়াত হোসনে বিচারকদের নিকট হতে আরিফকে জিম্মায় নেই এবং আরিফের সাথে বিয়ের পূর্ব শর্ত হিসেবে ৪ ষ্ঠা জুন উপজেলার কদমশহর গ্রামের নুজরুল ইসলাম ও রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট এলাকার আহসান হাবিব বাবলু কে সাক্ষী ও সানাক্তকারী করে পূর্বের স্বামীকে তালাক প্রদান করি৷ এরপর প্রেমিক আরিফের জিম্মাদার তাকে কৌশলে ভাগিয়ে দিলে অন্য অন্য গ্রাম্য মাতব্বর মাহাবুব রহমান মেম্বর, বাদল মেম্বর, জালাল উদ্দীন মেম্বর, শামসুল মেম্বর, আব্দুল হাই টুনু, সাখাওয়াত হোসেন ও বাদলসহ অন্য অন্যদের দুয়ারে দুয়ারে বিচারের আসায় ধরনা দিলেও ছেলে না থাকার অজুহাতে বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করে৷ অবশেষে বিয়ের দাবিতে গত ৭ই জুন ছেলে বাড়ীতে অবস্থান নিলে আরিফের বাবা-মাসহ তার আত্নতী-স্বজন বেধরক মারধর করে৷ এরপর বিভিন্ন ভাবে আইনি সহযোগিতা চাইলেও কোন সহযোগীতা পাচ্ছিনা৷ এ অবস্থায় আমার আত্নহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই বলে আর্তনাদ করছে কোহিনুর ৷

এ বিষয়ে ছেলের জিম্মাদার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কাউকে জিম্মায় নেইনি৷ শালিসী বৈঠকে আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ আর ছেলেকে না পাওয়া গেলে আমার কিছু করার নেই৷ এদিকে শালিসী বৈঠকের সভাপতি মাহাবুব রহমান মেম্বার ঘটনা স্বাকীর করে বলেন, একটি মহল অসত্‍ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার জের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই, বিষয়টি দেখতে হবে তাহলে বলতে পারবে৷