press-02

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ জুন: গতকাল ০৭/০৬/২০১৫ তারিখ রবিবার বিকাল ০৩.০৫ টায় ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ ঢাকা মহানগরীর বনশ্রী (ব্লক এল) এলাকার একটি বিল্ডিং এর গ্যারেজ হতে ৬ জন এবং রাত ০৭.৩০ টায় সুত্রাপুরস্থ লালমোহন দাস লেনে ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একটি বাড়ি থেকে ৩ জনসহ মোট ৯ জঙ্গীকে গ্রেফতার করে। বনশ্রী এলাকা হতে গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। কাজী ইফতেখার খালেদ @ খালেদ @ ইফতি ২। ফাহাদ বিন নুরুল্লাহ কাসেমী @ ফাহাদ @ কায়েস ৩। মোঃ রাহাত ৪। দ্বীন ইসলাম ৫। আরিফুল করিম চৌধুরী @ আদনান ও ৬। মোঃ নুরুল ইসলাম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক-৫কেজি, বোমা তৈরীর ব্যাপক সরঞ্জামাদি, বোমা বা উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক তৈরীর গবেষণাগার (ল্যাবরেটরী), বোমা ৮টি, চকলেট বোমা ৬টি, চাপাতি ৪টি, উগ্র মতবাদ সম্বলিত অনেক পুস্তুক, সংগঠনের একটি প্রস্তাবিত পতাকা উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামিয়া বাংলাদেশ (হুজি-বি) এবং আনসার উল্লাহ বাংলা টিম-এর বিভিন্ন সদস্যদের সমন্বয়ে নবসৃষ্ট জঙ্গী সংগঠন ’বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’-এর সদস্য।

অন্যদিকে সূত্রাপুরস্থ লালমোহন দাস লেন এলাকা হতে গ্রেফতারকৃতদের নাম-দলনেতা ১। মাওলানা নুরুল্লাহ কাশেমীসহ ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও ৩। মোঃ ইয়াসিন আরাফাত। তাদের হেফাজত হতে প্রায় ১ কেজি বিস্ফোরক, বোমা তৈরীর নানাবিধ সরঞ্জামাদি, উগ্রমতবাদ সম্বলিত নানা প্রকার পুস্তক, নবসৃষ্ট জঙ্গী সংগঠনের একটি পতাকা উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, এদেশে আইএসআইএস-এর আদলে ’বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’ নামের একটা জঙ্গী সংগঠনকে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। নবসৃষ্ট নিজস্ব জঙ্গী সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যাংক ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা সমবেত হয়েছিল। ঢাকা ছাড়াও উত্তর বঙ্গের একটি জেলায় তারা ব্যাংক ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল বলেও জানা যায়।

উল্লেখ্য, তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাদের অন্যান্য পলাতক সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশব্যাপী সংগঠনটির সকল সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রচেষ্টাও চলছে। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও এবং সূত্রাপুর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, বিস্ফোরক উপাদানাবলি এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দক্ষিণ) বিভাগ-এর অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম (বার)-এর তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আহসান হাবীবের নেতৃত্ব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার টিম (ডিবি-দক্ষিণ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিইউ) এবং পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি’র) সমন্বয়ে অভিযানটি পরিচালিত হয়।